রাজশাহীর বাজারে সবজির দামে স্বস্তি
স্টাফ রিপোর্টার: শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাজারে আমদানি বেড়েছে শীতের সবজির। এতে দাম আরো কমেছে। গতকাল শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীসহ উপকন্ঠের বাজারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে প্রতিকেজি ফুলকপি ২০ থেকে ২৫, বাধাকপি প্রতিপিস ২০/২৫, সিম প্রতিকেজি ৪০, টমেটো ৪০ থেকে ৫০, আলু নতুন ২০ থেকে ৩০, পুরাতন ১০ থেকে ১৫, বেগুন ৪০, পটল ৩৫, ঢেড়স ৩০, শশা ৫০, মিস্টি কুমড়া ৩০, প্রতিপিস লাউ ৩০, চাল কুমড়া ৩০, আদা ৮০, রসুন ৭০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি পেঁয়াজ নতুন ৫০ থেকে ৬০, পুরাতন ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে গতকাল মাছের দামও কিছুটা কমে প্রতিকেজি ছোটমাছ ২০০ থেকে ৪০০, সিলভার কার্প ১৩০ থেকে ১৬০, পাঙ্গাস ১৫০ থেকে ১৮০, রুই-কাতলা ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০, সোনালী ২৭০ থেকে ২৮০, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭শ থেকে ৭৫০, খাসির মাংস ৯শ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল প্রতিহালি সাদাডিম ৩২ এবং লালডিম ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া গতকাল নগরীর কুমারপাড়ার চালের আড়তগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫১/৫২, পারিজা/লালস্বর্না ৫৮ থেকে ৬০, আটাশ ৭২, মিনিকেট ৮২, নাজির শাইল ৯৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫৩ থেকে ৫৪, পারিজা/লালস্বর্না ৬০ থেকে ৬২, আটাশ ৭৪, মিনিকেট নতুন ৮৫, নাজির শাইল ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে আটা খোলা ৪৫ থেকে ৫০, প্যাকেট ৫২ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল প্রতিলিটার সয়াবিন খোলা ১৮০, বোতলজাত ১৯৮ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে রাজশাহীর বাজারে দেশি ও বিদেশি সব ধরনের ফল বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। বাজারে মৌসুমি ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বাজারে দেখা যায়, জলপাই কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, আমলকী ২৫০ টাকা, সফেদা ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, পেয়ারা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, দেশি জাতের কমলা ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা এবং আতা ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পেঁপের দাম কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে বিদেশি ফলেও দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বিদেশি কমলার দাম গতকাল কেজি প্রতি ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা, আপেল ৩৩০ থেকে ৩৫০ টাকা, মাল্টা ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা, নাশপাতি ৩২০ টাকা এবং বেদানা ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, বাজারে যথাযথ তদারকি না থাকায় একটি বিশেষ মহল এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।











