দুর্নীতি-গাফলতির অভিযোগ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে
পুঠিয়ার প্রাণিসম্পদ অফিস:
পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও কাজে গাফলতির অভিযোগ উঠেছে। তাদের দুনীতির কারণে এলাকায় ৬ লাখ হাঁসমুরগি ও ৫ শতাদিক গবাদী পশুপালন করা খামারিরা রোগব্যাধি নিযে বিপাকে পড়েছেন। এদিকে মাসোহারার বিনিময়ে উপজেলার শতাধিক হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়ায় জবাইকৃত মাংস বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২শ ৫১টি মুরগির খামার, হাঁসের খামার ৭টি, গাভীর খামার ৩০টি, ভেড়ার খামার ৬টি, গরু মোটাতাঁজাকরণ খামার ২২টির মতো রয়েছে। এছাড়াও উপজেলায় ৬ লাখ ৩৪ হাজার বিভিন্ন রকমের মুরগি পালন করা হয়।
গবাদী পশুপালনকারীদের অভিযোগ, প্রাণিসম্পদ অফিসের ডাক্তাররা মুরগির কোনো রোগব্যাধি শুরু হলে তারা খামারে আসেন না। অফিসের কিছু কর্মচারী যুগের পর যুগ এ অফিসে কর্মরত আছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের পশুর চিকিৎসা করতে আসলে তাদের বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
পরবর্তী সময়ে ব্যতিগতভাবে চিকিৎসা দিয়ে টাকা নিয়ে থাকেন। উপজেলার দুই শতাধিক খামারের মুরগির জন্য সরকারিভাবে কোনো ওষুধের ব্যবস্থা করে দেয় না তারা। যারা খামার ব্যবসার করে তারা নিজ উদ্যোগে রোগ প্রতিরোধের ওষুধ সংগ্রহ করে থাকেন। মাঠ পযার্য়ে যে কর্মকর্তারা থাকেন, সে কোনো দিন পশুপালনকারী কিংবা খামারিদের নিকটে যান না।
গতকাল বুধবার সকালে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে গেলে দেখা যায়, উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক গবাদি পশুর রোগ নিয়ে এসেছেন সাধারণ মানুষ। মরিজান বেগম নামের এক মহিলা বলেন, অফিসে আসলে ওষুধ লিখে দেয়। তখন বাধ্য হয়ে অবুলা পশুটিকে বাঁচানোর জন্য বাহির থেকে ওষুধ কিনে খাওয়াতে হয়।
আফাজ উদ্দিন বলেন, দুই একটি ওষুধ দেয়ার পর বাঁকীগুলো বেশি দামে বাহির থেকে কিনতে হয়। যে কোম্পানির ওষুধগুলো তারা লিখে সে কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তাদের মাসিক চুক্তি করে রাখা রয়েছে।
অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মচারী বলেন, জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ দিবসের সরকারি বরাদ্দকৃত টাকা সঠিকভাবে ব্যয় না করে নয়ছয় করে লুটপাট করা হয়েছে। কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সপ্তাহে দুই/তিন দিন কর্মস্থলে উপস্থিত থাকেন। অফিসে আসলে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে আলাপচারিতায় কার্যদিন শেষ করেন। কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে অন্য কর্মচারীরা দুপুর ২টার পর আর কেউ অফিসে থাকেন না।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা, মাহমুদুর হাসান বলেন, আমি অফিসে নিয়মিত এসে থাকি। অনেক সময়ে অফিসিয়াল কাজের জন্য বাহিরে থাকতে হয়।










