রাজশাহীতে বড়দিন উদযাপন
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মহোৎসব শুভ বড়দিন উদযাপিত হয়েছে। যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথি উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীসহ জেলার বিভিন্ন গির্জা ও খ্রিস্টান পল্লীতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ।
দিবসটি উপলক্ষে সকালে নগরীর ডিঙ্গাডোবায় অবস্থিত উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জায় বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ প্রার্থনায় সারা বিশ্বের মানুষের সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করা হয়। একই সঙ্গে সিটি চার্চসহ নগরের বিভিন্ন গির্জা এবং জেলার অন্যান্য উপাসনালয়েও যিশু খ্রিস্টের জন্মতিথি উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
বড়দিনকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর আদিবাসী খ্রিস্টান পল্লীগুলো উৎসবের রঙে রঙিন হয়ে ওঠে। ঘরে ঘরে আলোকসজ্জা, ধর্মীয় প্রতীক ও ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে সাজানো হয়। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের পাশাপাশি পারিবারিক মিলনমেলা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপন করেন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।
রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের বিশপ জের্ভার রোজারিওসহ বিভাগীয় ধর্মপ্রদেশের প্রধান এবং মহানগর ও জেলার বিভিন্ন গির্জার প্রধানরা এদিন বিভিন্ন চার্চ পরিদর্শন করেন। তাঁদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান আরও ভাবগম্ভীর হয়ে ওঠে। প্রার্থনা শেষে বড়দিনের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, বড়দিন মানবজাতির জন্য ভালোবাসা, ত্যাগ ও মানবকল্যাণের চিরন্তন শিক্ষা বহন করে। যিশু খ্রিস্ট মানুষের মুক্তি ও শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সমাজে সহমর্মিতা, ক্ষমা ও মানবিক মূল্যবোধ চর্চা করা প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সামাজিক ঐক্য গড়ে তুলতে বড়দিনের শিক্ষা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ বলেও বক্তারা উল্লেখ করেন।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন উদযাপনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে। ভালোবাসা, ত্যাগ ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এবারের বড়দিন নগরবাসীর জীবনে আনন্দ ও আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছে।
শুভ বড়দিন উদযাপনকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ রাখতে মহানগরীর বিভিন্ন চার্চে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নজরদারি জোরদার করা হয়। রাজশাহী মহানগর পুলিশের কমিশনার ড. মো: জিললুর রহমান উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গির্জাসহ কয়েকটি চার্চ পরিদর্শন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করেন।











