ঢাকা | ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫ - ১০:২০ অপরাহ্ন

শিরোনাম

যথাযোগ্য মর্যাদায় রাজশাহীতে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

  • আপডেট: Thursday, December 18, 2025 - 12:35 am

স্টাফ রিপোর্টার: মহান বিজয় দিবস বাঙালি জাতির ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক দিন। রাজশাহীতে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহের সাথে উদযাপিত হয়।

গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জেলা পুলিশ লাইন্সে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সকালে কালেক্টরেট চত্বর শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে বিভাগীয় কমিশনার ড. আ.ন.ম. বজলুর রশীদ, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ শাহজাহান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড. জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাঈমুল হাছান, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সংস্থা প্রধান, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল ৯ টায় নগরীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির আত্মপরিচয় অর্জনের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভাঙার দিন। ১৯৭১ সালে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য যারা নিজেদের জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন সেই অকুতোভয় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং নির্যাতিত মা-বোনদের প্রতি জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট এ সংগঠিত গণঅভ্যুত্থান সে ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ২০২৪ সালে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, আহত হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে সকল মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা। এই জন্য সাম্য, ন্যায়বিচার এবং মানবিক মূল্যবোধকে আমাদের সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একই সাথে তিনি একটি শান্তিপূর্ণ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিজয় দিবসে তাঁর দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন।

জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি, আরএমপি কমিশনার এবং পুলিশ সুপার বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

এরপর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বীরমুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হাতে ফুল ও উপহার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। সংবর্ধনা শেষে একই স্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

বিএনপি

বিএনপি রাজশাহী মহানগর শাখার উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি। দিবসের প্রথম প্রহরে রাজশাহী কলেজ শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, রাসিকের সাবেক মেয়র ও এমপি এবং রাজশাহী-২ (সদর) আসনে বিএনপি মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও রাসিকের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহসম্পাদক ও রাজশাহী-৩ আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি পদপ্রার্থী এড. শফিকুল হক মিলন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন, মহানগর বিএনপির সহসভাপতি এড. ওয়ালিউল হক রানা, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম রবিসহ নগর বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এরপর সকাল সাড়ে ৭টায় বিএনপি মহানগর কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই সাথে পায়রা উড়িয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় এবং মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জামায়াতে ইসলামী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর যুব বিভাগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় নগরীর গনকপাড়া মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনা বাস্তবায়নে আদর্শবান ও নৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যুব সমাজের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা দেশের সার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় যুবকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর যুব বিভাগের সেক্রেটারি সালাউদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমির অ্যাড. আবু মোহাম্মদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী সদর-২ আসনে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুব আহসান বুলবুল, সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকারসহ বিভিন্ন থানা ও মহানগরী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সমাবেশ শেষে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে র‌্যালির আয়োজন করা হয়।

রাসিক

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক ড. আ. ন. ম. বজলুর রশীদ। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আহমেদ আল মঈন পরাগ, বাজেট কাম হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম খান, নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা) সুব্রত কুমার সরকার, সিটি হাসপাতালের ইনচার্জ ও আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ তারিকুল ইসলাম বনি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, রাজস্ব কর্মকর্তা সারওয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ ও ওয়াড সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিকেল ৪টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন বনাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে।

জেলা পরিষদ

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে যথাযথ মর্যাদা ও ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করেছে রাজশাহী জেলা পরিষদ। শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রশাসক ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক ) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। পুষ্পস্তবক অর্পণকালে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, সহকারী প্রকৌশলী এ. কে. এম আনোয়ার হোসেন, প্রধান সহকারী এস. এম. আল মতিন, উপ সহকারী প্রকৌশলী (অঃদাঃ) আলেফ আলী-সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মহান বিজয় দিবস বিভিন্ন আয়োজন-অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হয়। এদিন ভোরে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবনসহ অন্যান্য ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব শহিদ মিনারে ও বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এসময় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা. ফরিদ উদ্দীন খান, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর মতিয়ার রহমান, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, ইনস্টিটিউট পরিচালক ও বিশিষ্ট শিক্ষকবৃন্দ, প্রক্টর প্রফেসর মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর আখতার হোসেন মজুমদারসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

রাবি স্কুল মাঠে মার্চ পাস্ট, খেলাধুলা ও সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকে রাবি মডেল স্কুল মাঠে আনন্দ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। উপাচার্য এসব আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বেলা ৩টায় জনসংযোগ দপ্তরের ব্যবস্থাপনায় সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা প্রদান। এছাড়া রাবি অফিসার সমিতি এবং সহায়ক কর্মচারী সমিতি, পরিবহন টেকনিক্যাল কর্মচারী সমিতি ও সাধারণ কর্মচারী ইউনিয়ন কর্তৃক নিজ নিজ উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএমডিএ

মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় সহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল রিজিয়ন ও জোন দপ্তরে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক তরিকুল আলম এর নির্দেশে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যে দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ জিন্নুরাইন খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শরিফুল হক (অবঃ), নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম ওবায়দুল্লাহ, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন-উর-রশিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, রাজ(২০৮৮) সিবিএ সভাপতি মজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ফারুকসহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দসহ সকলে উপস্থিত ছিলেন।

আরএমপি

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী রাজশাহী মহানগরীতে বসবাসরত বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আরএমপি পুলিশ লাইন্সের পিওএম কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের পুলিশ কমিশনার ড. মো: জিল্লুর রহমান। অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি তাঁদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন এবং মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা স্মারক উপহার প্রদান করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মোট ৩৩ জন বীর পুলিশ মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৬ জন শহিদ ও প্রয়াত পুলিশ মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা প্রদান করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) চলতি দায়িত্বে ফারুক হোসেন; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, উপ-পুলিশ কমিশনার (মতিহার) আল মামুনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি

নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও নিরবতা পালন করা হয়। এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর আনসার উদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক রিয়াজ মোহাম্মদ, ডিন প্রফেসর ড. মকসুদুর রহমান, রেজিস্ট্রার ড. আজিবার রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. ইদ্রিস আলীসহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। বিজয় দিবস উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী ক্যাম্পাসে আলোক সজ্জা করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ

মহান বিজয় দিবস উদযাপন কল্পে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমান্ড বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল ভোরে জাতীয় ও সংগঠনের পতাকা উত্তোলন। মুক্তিযোদ্ধা কমল্পেক্স ভবন চত্তরে মুক্তিযোদ্ধা গণজমায়েত, সকাল ৯টায় বিজয় র‌্যালিবের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ শেষে ভূবনমোহন পার্কে শহীদ মিনারে উপস্থিত হয় এবং বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, এরপর সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভাশেষে শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্বর্ধনা সভায় যোগদান। জেলা ইউনিটের আহ্বায়ক (কমান্ডার) বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খোকা ও মহানগর ইউনিটের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ সামাদের নেতৃত্বে এসব কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে অংশ গ্রহণ করেন জেলা যুগ্ম আহ্বায়ক (ডেপুটি কমান্ডার) বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, জেলা ইউনিটের সদস্য সচীব বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ হোসেন, মহানগর সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দীন, বীর মুক্তিযোদ্ধা তৈয়বুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ মোমিন কাজল প্রমুখ।

আরইউজে

রাজশাহীতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সাংবাদিক নেতারা বলেছেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগিতায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ জুলাই যোদ্ধাদের টার্গেট করে হত্যার পরিকল্পনা করছে। এরই অংশ হিসেবে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণ করা হয়েছে। ওসমান হাদিকে গুলি করার অর্থ হলো প্রতিটি জুলাইযোদ্ধার মাথায় গুলি করা। কিন্তু এদেশের বিপ্লবী ছাত্রজনতা পরাজিত শক্তির কাছে কখনো মাথা নোয়াবে না।’ তারা বলেন, ‘আধিপত্যবাদী শক্তির এবং তার দোসর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সব ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে নতুন বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবেই ইনশাআল্লাহ। আর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়েই জাতি স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করবে।’

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আরইউজে কার্যালয়ে রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের (আরইউজে) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুহা: আবদুল আউয়াল। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজের সহকারী মহাসচিব ও আরইউজের সাধারণ সম্পাদক ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন। যুগ্ম সম্পাদক ওমর ফারুকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যদের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি মনজু রহমান, আরইউজের সহসভাপতি মঈন উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ তৌফিক ইমাম পান্না, নির্বাহী সদস্য কবি সোহেল মাহবুব, দৈনিক মানব জমিনের রাজশাহী প্রতিনিধি ডালিম হোসেন শান্ত, আরইউজের সদস্য মেজবাউল আলম দিনার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

রাজশাহী কলেজ

মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী কলেজ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিজয় শোভাযাত্রা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতি। অধ্যক্ষ প্রফেসর মুঃ যহুর আলীর নেতৃত্বে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের কুমারপাড়া মোড় প্রদক্ষিণ করে কলেজ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ইব্রাহিম আলী, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক প্রফেসর ড. সেরাজ উদ্দীন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. শিখা সরকার, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ। শোভাযাত্রা শেষে অধ্যক্ষ মহোদয়ের নেতৃত্বে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

কাশিয়াডাঙা কলেজ

মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নাগরীর পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত কাশিয়াডাঙা কলেজে আয়োজিত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি, কলেজ চত্বরস্থ শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন, ছাত্রদের অংশ গ্রহণে বিজয় দিবস ক্রিকেট টুর্নামেন্ট, ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও রাজশাহীর ইতিহাস-ঐতিহ্য বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল। কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল করিম শাহ্ আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আলোচনায় অংশ নেন সহকারী অধ্যাপক বেগম নারগীস আরা, সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ আবু বরকত প্রমুখ। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন সহকারী অধ্যাপক মজিবুর রহমান। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শরীরচর্চা শিক্ষক দিলারা জাহান।

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সকাল ১০টায় বিজয় শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সকল বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল শহিদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়। এ পর্বে ছিলো আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

আহ্ছানিয়া মিশন

আহ্ছানিয়া মিশন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (আমুস্ট) যথাযোগ্য মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সকালে আমুস্টের ক্যাম্পাস থেকে একটি বিজয় র‌্যালি শুরু করা হয় যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। পরবর্তীতে আমুস্টের অডিটোরিয়ামে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সকল শহিদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন আমুস্টের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শহীদুল ইসলাম।

শাপলা

বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার মহান বিজয় দিবস ২০২৫ উদযাপন করা হয়। সকাল ৯টায় রাজশাহী কলেজ প্রাঙ্গণে র‌্যালি ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অতঃপর সংস্থার প্রধান কার্যালয় রাজশাহীস্থ কনফারেন্স হলে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক মোহসিন আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার ফান্ড রেইজিং, অ্যাসেট অ্যান্ড কমিউনিকেশনের সহকারী পরিচালক মাহবুব হোসেন এবং মাইক্রো ফাইন্যান্স প্রোগ্রামের সহকারী পরিচালক হাসিবুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন শাপলা গ্রাম উন্নয়ন সংস্থার এইচআর অ্যান্ড এডমিনের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

পবা

মহান বিজয় দিবসে পবা উপজেলা শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের স্মরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরাফাত আমান আজিজ। বীর মুক্তিযোদ্ধারা, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ এবং সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয় ও উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পর্যায়ক্রমে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মান জানিয়ে পুষ্পস্তবক নিবেদন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহেদী হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী মকবুল হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এমএ মান্নান, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামসহ প্রশাসনের বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এছাড়াও আরএমপির বিভিন্ন থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দিনব্যাপী কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন, আলোচনা সভা, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, দোয়া ও বিশেষ প্রার্থনা।

বাগমারা

বাগমারায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভবানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর দুপুর ১২টার দিকে ভবানীগঞ্জ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সম্মানে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম। বক্তব্য দেন- বাগমারা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইফুল ইসলাম ভুঞা, একাডেমিক সুপার ভাইজার ড. মোহাম্মদ আব্দুল মুমীত, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইদুল আলম প্রমুখ।

তানোর

তানোরে উদযাপিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস পলিত। গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে আতশবাজি ফোটানো ও স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসের সূচনা করেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাঈমা খান। এরপর পুলিশ বাহিনী, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, তানোর প্রেসক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুঠিয়া

রাজশাহীর পুঠিয়ায় স্থানীয় প্রশাসন, বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। এরপর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ, আনসার বাহিনী, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাসহ, সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

চারঘাট

রাজশাহীর চারঘাটে নানা আয়োজনে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের কর্মসূচি মোতাবেক সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপরে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা শুরু হয়। এরপর সকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জান্নাতুল ফেরদৌস, চারঘাট মডেল থানার (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীসহ বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি কর্মকর্তাগণ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

মোহনপুর

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করেছে মোহনপুর উপজেলা প্রশাসন। গত মঙ্গলবার সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শহিদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। পরে জাতির বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দিবসটির অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্যারেড। এতে অংশ নেন মোহনপুর থানা পুলিশের সদস্যরা, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এবং উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সুশৃঙ্খল ও বর্ণাঢ্য এ প্যারেডে অংশগ্রহণকারীরা শৃঙ্খলা ও দেশপ্রেমের চেতনাকে তুলে ধরেন।

শিবগঞ্জ

শিবগঞ্জে মহান বিজয় দিবস পালন হয়েছে। গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীরমুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক আহমেদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিক আজিজ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বজলার রশিদ সনু, শিবগঞ্জ থানার ওসি হুমায়ন কবির, উপজেলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম প্রমুখ।

নিয়ামতপুর

নওগাঁর নিয়ামতপুরেও বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নিয়ামতপুর হাইস্কুল মাঠে শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা প্রশাসন ও সর্বস্তরের মানুষ। শহিদ মিনারে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুর্শিদা খাতুন। পরে মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের পাশাপাশি রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাণীনগর

নওগাঁর রাণীনগরে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। রাণীনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩১ বার তোপধ্বনি মধ্যে দিয়ে দিবসের নানা কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পূণ করা হয়। সকাল ৯টায় রাণীনগর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়।

বদলগাছী

বদলগাছীতে মহান বিজয় দিবস যথাযোগ্য পর্যাদায় পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে ৩১ বার তপধ্বনির মাধ্যমে বিজয় দিবসের সূচনা করা হয়। এরপর পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ভবন সমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইসরাত জাহান ছনি। পতাকা উত্তোলন শেষে পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন তিনি।

পোরশা

নওগাঁর পোরশায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ৩১বার তোপধ্বনীর মাধ্যমে দিনটির সূচনা হয়। পরে একই সময়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে ইউএনও রাকিবুল ইসলাম বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও নিতপুর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিজয় মেলার উদ্বোধন, কুচকাওয়াজ, ডিসপ্লে প্রদর্শন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনাসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

তাড়াশ

নানা কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে চলনবিলের তাড়াশে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। গত মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সাথে সাথে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে বিজয় দিবসের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তাড়াশ উপজেলা নিবার্হী অফিসার নুসরাত জাহান। পরে উপজেলা হেলিপ্যাড ময়দানে শহিদদের স্মরণে ৩১বার তোপধ্বনি, শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকল বীর শহিদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

নাচোল

নাচোলে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসের শুরুতে নাচোল সরকারি কলেজ মাঠে ৩১ বার তোপধ্বনি করা হয়। এরপর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। শ্রদ্ধা জানাতে একে একে শহিদ স্মৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন, উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, নাচোল থানা, নাচোল পৌরসভা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনৈতিক দলসমূহ। শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

গোমস্তাপুর

গোমস্তাপুরে মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। গত মঙ্গলবার সকাল আটটা তিরিশ মিনিটে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। এরপর ডিসপ্লে প্রদর্শন, ক্রিয়া প্রতিযোগিতা, ও রহনপুর আহাম্মদী বেগম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি।