মহান বিজয় দিবস আজ
সোনালী ডেস্ক: একটি স্বাধীন ভূখণ্ড, একটি মানচিত্র আর পতাকা-বাংলাদেশের মানুষের লালিত স্বপ্ন ছিল। ব্রিটিশ আমল থেকে পাকিস্তান সময়ে শোষণের জাঁতাকলে পিষ্ঠ হয়ে এ ভূমির মানুষের মানসপটে সে স্বপ্ন যেন আরও অনিবার্য হয়ে ওঠে।
স্বাধীনতার স্বপ্ন বিভোর বাংলার মানুষের সে স্রোত একত্রিত হয় ১৯৭১-এ। পাকিস্তানি শাসনের নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে অকাতরে তারা বিলিয়ে দেয় এক সাগর রক্ত।
৩০ লাখ শহীদ আর লাখো মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীন বাংলাদেশ। পরাধীন এক জাতি পায় মুক্তির স্বাদ, নিজের পরিচয়।
আজ থেকে ৫৪ বছর আগে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের শেষে বাংলার আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয়েছিল বিজয়ের গান। আজ সেই মহান বিজয় দিবস। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে প্রস্তুত গোটা বাংলাদেশ।
বিজয়ের দিনে আজ সর্বত্র উড়বে বাংলাদেশের পতাকা। কালের পরিক্রমায় অন্যরকম এক সময়ে দাঁড়িয়ে জাতি। নতুন এক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বিভোর সবাই। যেখানে থাকবে না কোনো অন্যায়, শোষণ, দুর্নীতি। লঙ্ঘিত হবে না মানবতা। থাকবে না ক্ষমতার অপব্যবহার। আজ শপথ নেওয়া হবে এক সমৃদ্ধিশালী দেশ গড়ার। দেশের উন্নয়ন ও প্রগতির পথে বাধাদানকারীদের সমূলে উচ্ছেদ করার। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাণী দিয়েছেন। এছাড়া পৃথকভাবে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বাণীতে তারেক রহমান বলেন, দেশে আবার স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা জেগে উঠেছে। এ মুহূর্তে নির্বিঘ্নে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক-আমরা বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসাবে মানুষের পাশে থাকব।
১৯৭১ সালের এদিনে ৯২ হাজার পাকিস্তানি সৈন্যবাহিনী ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। সেই বিজয়ের আনন্দ আজও থাকবে বাংলার ঘরে ঘরে।











