ঢাকা | ডিসেম্বর ১৫, ২০২৫ - ৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

বাগমারায় স্বর্ণচোর চক্রের মূল হোতা আরাফাতের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

  • আপডেট: Monday, December 15, 2025 - 12:11 am

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারা অঞ্চলে স্বর্ণচোর চক্রের মূল হোতা আরাফাত হোসেন। হাটগাঙ্গোপাড়ায় পুলিশের হাতে আটকের পর সে নিজেকে বাগমারা অঞ্চলের স্বর্ণচোর চক্রের প্রধান বলে স্বীকার করেছে।

থানার ওসি সাইদুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, ১১ ভরি চাঁদিসহ আটক হওয়া আরাফাতকে গত শনিবার ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর রাতে হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারের ব্রাদার্স জুয়েলার্সের কারখানার ভেন্টিলেটর ভেঙে ছয়শ’ ভরি চাঁদি, এক ভরি স্বর্ণ ও নগদ টাকা চুরি হয়। বিষয়টি বাংলাদেশ জুয়েলার্স মালিক সমিতির পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের জুয়েলার্স দোকান মালিকদের অবহিত করা হয়। একপর্যায়ে আউচপাড়া ইউনিয়নের শিহালী গ্রামের দুলাল হোসেন মান্দার চৌবাড়িয়া বাজারে একটি স্বর্ণের দোকানে ব্রাদার্স জুয়েলার্সের দোকান থেকে চুরি হওয়া স্বর্ণলঙ্কার বিক্রয় করে।

জুয়েলার্স মালিক সমিতি বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ব্রাদার্স জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী আসলাম হোসেন বাদী হয়ে দুলাল হোসেন, তার ছেলে আরাফাত হোসেন এবং মা নেকজান বিবির নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ ডিসেম্বর থানায় একটি মামলা করেন। এরপর বুধবার পুলিশ নিজ বাড়ি থেকে দুলালকে আটক করে। এরপর শুক্রবার তার ছেলে আরাফাতকে হাটগাঙ্গোপাড়া বাজারে সাজ্জাদ জুয়েলার্সে স্বর্ণলঙ্কার বিক্রয়ের সময় ১১ ভরি চাঁদিসহ পুলিশ তাকেও আটক করে। আটকের পর সে ব্রাদার্স জুয়েলার্স সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায় ১৫টি স্বর্ণের দোকানে চুরির কথা স্বীকার করে। সে আরও জানায়, রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ, বগুড়া ও চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্বর্ণ চুৃরির একটি চক্র রয়েছে। ওই চক্রের মোট সদস্য ৩৫ জন। আরাফাত ওই চক্রের বাগমারা অঞ্চলের প্রধান বলে সে স্বীকার করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, স্বর্ণ চোর চক্রের সদস্যরা অভিনব কায়দায় জুয়েলার্সের দোকান থেকে স্বর্ণ চুৃরি করে। এক জেলা থেকে চুরি করা স্বর্ণ অন্য জেলায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছে তারা কম দামে বিক্রি করে থাকে। ওই চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে আটক হওয়া আরাফাতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।