চোর ধরতে গিয়ে গুরুতর আহত মাছচাষির ছেলে
মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার বাকশৈল গ্রামে মাছ চুরির ঘটনায় বাধা দিতে গিয়ে এক মাছচাষির ছেলেকে গুরুতরভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছে। ভুক্তভোগী মাছচাষি বেল্লাল শেখ (৫৪) জানান, গত ১৩ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১০টার দিকে তিনি পুকুর দেখে বাড়িতে ঘুমাতে যান। রাত আনুমানিক ১টার দিকে একটি সন্দেহজনক ফোনকল পেয়ে তিনি মোহনপুর থানাধীন বাকশৈল গ্রামে রায়হান কোল্ড স্টোরের পেছনে নিজের পুকুরে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখতে পান-পুকুর পাড়ে ছয় জোড়া স্যান্ডেল, ২৯টি খালি প্লাস্টিক বস্তা, কাগড়-চোপড়ের ব্যাগ, পানিতে প্রায় এক হাজার মিটার জাল পাতা এবং একটি বস্তায় ৮৭ কেজি রুই-মৃগেল মাছ রাখা রয়েছে।
খবর পেয়ে তার ছেলে ও স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে গেলে দুই ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় মাছচাষির ছেলে সোহেল শেখ (৩০) তাদের ধরতে গেলে আটককৃত আসামি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার নাগরবাগ গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে হানিফ (৩৬) তাকে কামড়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় হানিফকে আটক করা হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। আহত সোহেল শেখকে প্রথমে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তিনি বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। অভিযোগে বলা হয়, আটক ও পলাতক আসামিরা সংঘবদ্ধভাবে কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ চুরি করেছে, যার ফলে প্রায় ১,৫০০ কেজি মাছ মারা যায়। এতে আনুমানিক ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে। পরে উদ্ধারকৃত ৮৭ কেজি মাছ পচনশীল হওয়ায় স্থানীয় মাছের আড়তে ২০ হাজার ৪০ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় মোহনপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম মইনুদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামি হানিফকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে মহামান্য আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।











