ঢাকা | ডিসেম্বর ১৪, ২০২৫ - ১২:১৭ অপরাহ্ন

নগরীতে কোম্পানি খুলে দম্পতির প্রতারণার ফাঁদ

  • আপডেট: Sunday, December 14, 2025 - 12:14 am

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগরীর বিসিক শিল্প নগরীতে অবস্থিত মহানন্দা এগ্রো কেয়ার লি: নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও এমডি দম্পতির বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের পাশাপাশি ডিরেকটর পদ দেয়ার নামে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগীরা মামলা করেছেন।

অভিযুক্তরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান জিয়াসমিন এবং তার স্বামী ও প্রতিষ্ঠানটির এমডি আমিনুল ইসলাম। তবে ওই স্বামী-স্ত্রীর দাবি তারাই প্রতারণার শিকার। ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য মতে, আমিনুল ও জিয়াসমিন দম্পতি তাদের প্রতিষ্ঠানে ডিরেকটরশিপ বা ব্যবসায়ী অংশিদার করার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রতিষ্ঠানটির একটি প্যাডে লেখা হিসেবে দেখা যায় তাদেরকে কে কত টাকা দিয়েছেন। তবে ভুক্তভোগীরা এক পর্যায়ে যখন বুঝতে পারেন এই দম্পতি তাদের সাথে প্রতারণা করছেন তখন তারা তাদের অর্থ ফেরত চান। নানা অজুহাতে তখন তারা টাকা ফেরত দিতে গড়িমসি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে ভুক্তভোগীদের অর্থ না দিয়ে চেক দিতে বাধ্য হন। তবে ভুক্তভোগীরা সেই চেকে টাকা না পেয়ে আইনের আশ্রয় নেন এবং মামলা করেন। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি এই দম্পতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। প্রতিষ্ঠানটির একটি প্যাডে দেয়া বিবরণী থেকে জানা যায় বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে এই দম্পতি দুই কোটির বেশি টাকা গ্রহণ করেছেন।

ভুক্তভোগী আলমগীর কবির জানান, বিনিয়োগের নাম করে তার কাছ থেকে ৪৫ লাখ টাকা নেয় এই দম্পতি। তিনি নিজের পাশাপাশি আরও ৪ থেকে ৫ জনকে এই প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করিয়েছেন। তাদের প্রতারণা বুঝতে পেরে তিনি টাকা ফেরত চাইলে তারা চেক প্রদান করেন। তবে সেই চেক থেকে টাকা তুলতে না পেরে তিনি মামলা করেন। তার মতো আরও অনেক বিনিয়োগকারী বিপাকে রয়েছেন। অপর ভুক্তভোগী শিলু পারভেজ জানান, তিনি ৭৬ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন। এখন তিনি সেই টাকা তুলতে পারছেন না। ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন প্রামানিক বলেন, তিনি ১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের নামে দিয়েছিলেন। এখন তিনি বিপদে রয়েছেন।

এবিষয়ে কথা বলতে মহানন্দা এগ্রো কেয়ার লি: এর এমডি আমিনুল ইসলামের মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে তার স্ত্রী জিয়াসমিন নিজেকে ওই প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যন দাবি করে জানান, তাদের প্রতিষ্ঠান ও তাদের বিরুদ্ধে যেসব কথা বলা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। তারা লিমিটেড কোম্পানি পরিচালনা করেন। প্রতারণার সুযোগ নেই। বরং যারা অভিযোগ করছে তারা তাদের অফিস ও গাড়ি থেকে ব্যাংকের চেক চুরি করে নিয়ে গেছে। সেই চেকের বলে এখন তারা মিথ্য মামলা দিয়েছেন।