ঢাকা | ডিসেম্বর ১০, ২০২৫ - ১:৪১ পূর্বাহ্ন

‘আগে ছিল দাড়িপাল্লা, এখন হয়েছে ডালিপাল্লা’, মন্তব্য মিলনের

  • আপডেট: Wednesday, December 10, 2025 - 12:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: জামায়াতে ইসলামীর দলীয় প্রতীক দাড়িপাল্লাকে “ডালিপাল্লা” হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ও আগামী নির্বাচনে রাজশাহী-৩ আসনে সংসদ সদস্য প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।

তিনি বলেছেন, “জামায়াত গ্রাম-গঞ্জ থেকে শুরু করে শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তারা বলছে, সবাইকে এর আগে দেখেছেন; এবার জামায়াতকে দেখেন।” মিলন বলেন, “আগে ছিলো দাড়িপাল্লা, এখন সেটা হয়েছে ডালিপাল্লা। বিভিন্ন মোড়ে-মোড়ে ও পোলে-পোলে এই ‘ডালিপাল্লা’ দেখা যাচ্ছে।”

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর হাটে ধানের শীষের প্রচারণা শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতকে জনগণ নতুন করে চিনতে চায় না মন্তব্য করে মহানগর বিএনপির সাবেক এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, “জনগণ আপনাদের খুব করে চেনে। কারণ, জনগণ ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান ভাগের সময় আপনাদের দেখেছে। জামায়াত ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের পক্ষ নিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ বিলম্বিত করেছিলো। শুধু তাই নয়, এদেশের মানুষের উপরে চরম আকার নির্যাতন করেছিলো জামায়াত। নারীদের পাকিস্তানী সেনাদের হাতে তুলে দিতো। এমন কোন খারাপ কাজ নাই যে তারা সে সময়ে করেনি। এজন্য এ দলকে মানুষ আর নতুন করে চিনতে চায়না।”

শফিকুল হক মিলন আরও বলেন, “ধানের শীষ হচ্ছে দেশের মানুষের একমাত্র নির্ভরযোগ্য প্রতিক। ১৬ ডিসেম্বর বাঙালী জাতির একটি অবিস্বণীয় ও গৌরবোজ্জল দিন। এই দিনে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে দেশ থেকে বিতারিত করে লাল সবুজের পতাকা ও একটি মানচিত্র নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছিলো। এ জন্য এই মাসটি দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত গর্বের ও স্মরণীয়।”

জামায়াত জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার খোয়াব দেখছে- এমন মন্তব্য করে বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক এই সহ-সম্পাদক বলেন, “এই ভূখন্ডের জন্য শসস্ত্র সংগ্রাম করতে হয়েছিলো। কিন্তু ঐ সংগ্রামে জামায়াতে ইসলাম মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলো না। শুধুমাত্র সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা করার ফলে এবং গণতন্ত্রকে চর্চা করার জন্য বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষে জামায়াতকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়া হয়েছিলে। কিন্তু এখন সেই দল ৫ আগস্টের পরে বিভিন্ন অফিস ও প্রশাসনকে কয়াত্ব করে আগামী সংসদ নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় যাওয়ার খোয়াব দেখছে।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের ন্যায় বিএনপি একতরফা নির্বাচন এ দেশে কোনভাবেই হতে দেবে না। সেইসাথে বিএনপি এটাতে বিশ্বাস করে না। বিএনপি সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমেই নির্বাচন চায় বলে।”

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির পবা উপজেলা শাখার সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, পারিলা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক রেজাউল করিম, সদস্য সচিব মোকলেসুর রহামন রেন্টু, পবা উপজেলা কৃষক দলের সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, রাসিক সাবেক কাউন্সিলর সামসুন্নাহার,পারিলা ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি নাহিদ, পবা উপজেলা ছাত্রদলের যুগম্ আহ্বায়ক খাইরুল ইসলাম ও পারিলা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি সাজ্জাদ হোসেনসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষকদল, মহিলা দল ও ছাত্রদলসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

সোনালী/জগদীশ রবিদাস