চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: তিন মাস বন্ধ থাকার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর বাজারে কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দাম কমেছে। তবে, স্থানীয় বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বেচাকেনা হতে দেখা যায়নি। এদিকে গত রোববার সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলার মহদীপুর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে প্রবেশ করে। এছাড়াও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে আরও ৮১০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ। তিনি জানান, ২৭টি অনুমোদনপত্রের বিপরীতে সোনামসজিদ বন্দরে দিয়ে ৮১০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। আমদানি শুরু হয়েছে। আজকে (গতকাল সোমবার) সারাদিনে স্থলবন্দরে ১৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পরিচালনাকারী পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম জানান, গত রোববার বাংলাদেশ সরকার এই বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার পরই ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হলো। সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক সমীর চন্দ্র ঘোষ জানান, পেঁয়াজ আমদানির বিষয়ে ৩০টি আইপি (আমদানি অনুমতি) ইস্যু হয়েছে ৩০ জন আমদানিকারকের বিপরীতে। গত রোববার সন্ধ্যায় দুজন আমদানিকারকের ৬০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পৌঁছেছে। এই স্থলবন্দর দিয়ে গত সেপ্টেম্বর মাসের ৯ তারিখে সর্বশেষ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল বলে জানান তিনি। এদিকে, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ আগের দিন এই ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। পাইকারী ব্যবসাীয় আনারুল ইসলাম জানান, ভারতীয় ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর স্থানীয় বাজারে প্রকার ভেদে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা দাম কমেছে।

তবে, স্থানীয় বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজ বেচাকেনা হতে দেখা যায়নি। বন্দর দিয়ে আমদানিকৃত পেঁয়াজের বিরাট অংশ ঢাকা ও চট্রগ্রামে চলে গেছে। তবে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকলে আরো দাম কমে আসবে। অন্যদিকে ক্রেতা সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির পর বাজারে দাম কমায় আমরা খুশি। তবে, বাজার তদারকি বাড়ালে আরো দাম কমে আসবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ জানান, সিন্ডিকেট ভাঁঙার জন্য সরকার সীমিত আকারে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিকে সাধুবাদ জানালেও, ভবিষ্যতে কৃষকদের স¦ার্থ বিবেচনা করে আইপিও নিয়ন্ত্রণ করার দাবিও জানান।