বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি গ্রামে কৃষি দপ্তর ও বাগমারা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই সার জব্দ করে।
এসময় ওই নেতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। জব্দ করা সারের মালিক ওয়ারেস আলী (৩৫) ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। তিনি ভবানীগঞ্জের গরুহাটায় খুচরা সার বিক্রি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওয়ারেস আলীর খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন আছে। ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে দোকানে রেখে খুচরা বিক্রেতা করতে পারবেন। তবে বাড়িতে মজুত করা রহস্যজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে সার মজুতের খবর পেয়ে কৃষি দপ্তর ও পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে ওয়ারেস আলী পালিয়ে যান। পরে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দুজন ডিলারের লাইসেন্স ব্যবহার করে ওয়ারেস আলী সারের ব্যবসা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। তবে সারগুলো কালোবাজারির জন্য নিজের বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা ও সার ব্যবস্থাপনায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত বা রাখা যাবে না। তিনি নিজ বাড়িতে রেখেছেন, যা অবৈধ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ারেস আলী বলেন, জব্দ করা সব সার বৈধ। কাগজপত্রও আছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতা আর পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করেন তিনি। এসব সার রাজশাহী বিএডিসি গুদাম থেকে তোলা। ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে সার রাখার পরিবেশ না থাকায় বাড়িতে রেখেছিলেন।











