ঢাকা | ডিসেম্বর ২, ২০২৫ - ১১:৪০ অপরাহ্ন

জামিনে মুক্তির দেড় ঘণ্টা পর আবারও পুলিশ হেফাজতে ৬ ভারতীয় নাগরিক

  • আপডেট: Tuesday, December 2, 2025 - 10:55 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির মাত্র দেড় ঘণ্টা পর আবারও ছয় ভারতীয় নাগরিককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌর এলাকার নয়াগোলা থেকে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস।

এর আগে গত সোমবার বিকেলে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে রাত ৮টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান ভারতীয় নাগরিকরা। পরে তারা জিম্মাদার ফারুক হোসেনের নয়াগোলা এলাকার বাড়িতে যান। সেখানে রাতের খাবার শেষ করার পরই পুলিশ আবারও তাদের নিয়ে যায়। জিম্মাদার ফারুক হোসেন বলেন, কারাগার থেকে বের হয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার পর তারা আমার বাসায় আসে। এরপর রাতের খাবার খাওয়ার পর পুলিশ তাদের নিয়ে যায়। কেন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে প্রশ্ন করলেও কোনো পরিষ্কার উত্তর পাইনি।

পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, আমরা আপাতত তাদের হেফাজতে নিয়েছি। আটক বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি এবং আদালতের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে। গত সোমবার বিকেলে সীমান্ত অনুপ্রবেশ আইনের মামলায় আসামি চারজনকে জামিন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) আশরাফুল ইসলাম। জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, দানিশ শেখ (২৮) তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), যিনি অন্তঃসত্ত্বা সুইটি বিবি (৩৩) ও তার দুই সন্তান কুরবান দেওয়ান (১৬)।

এছাড়া সুইটি বিবির শিশু সন্তান ইমাম দেওয়ান (৬) ও সোনালি বিবির সন্তান সাব্বির শেখ (৮) কারাগারে থাকলেও মামলার আসামি ছিলেন না। আসামি পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু জানান, সোনালি বিবি যেকোনো সময় সন্তান জন্ম দিতে পারেন, এ বিবেচনায় আদালত মানবিক কারণে জামিন দেন। নয়াগোলার ফারুক হোসেন তাদের জিম্মা নেন, যিনি সোনালি বিবির আত্মীয়। মামলাটির পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আজ ৩ ডিসেম্বর বুধবার এদিন আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ রয়েছে।

গত ২০ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর এলাকা থেকে ৬ ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে তাদের কুড়িগ্রামের এক সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ বাংলাদেশে পুশইন করে। পরে সীমান্ত অনুপ্রবেশ আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের মধ্যে দুইজন কোলে শিশুও ছিল, যাদের মামলার আসামি করা হয়নি।