ঢাকা | নভেম্বর ২৮, ২০২৫ - ১০:৫৮ অপরাহ্ন

শিশু হৃদরোগ ইউনিট চালু করবে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন

  • আপডেট: Friday, November 28, 2025 - 9:58 pm

স্টাফ রিপোর্টার: জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের দ্রুত ও উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন শিশু হৃদরোগ ইউনিট চালুর উদ্যোগ নিয়েছে।

আগামী ছয় মাসের মধ্যেই এই ইউনিট চালুর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন। পাশাপাশি হৃদরোগীদের জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে আনা ও প্রয়োজনে ঢাকায় পাঠানোর জন্য একটি কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স ক্রয়েরও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে রোগী ও স্বজনদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শুক্রবার বিকেলে নগরীর নাইস কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব তথ্য তুলে ধরেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক।

খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন বলেন, পূর্ণাঙ্গ হৃদরোগ হাসপাতাল হিসেবে যাত্রা শুরুর পর থেকে ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ৬৩৭ জনের এনজিওগ্রাম, ২০১ জনের এনজিওপ্লাস্টি, ১৩ জনের ভালভুলোপ্লাস্টি, ১০৩ জনের স্থায়ী ও অস্থায়ী পেসমেকার স্থাপন, দুই জনের সিআরটিপি, এক জনের পিবা ও ৬ জনের পেরিকার্ডিও সেন্থেসিস সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে রোগীরা সুবিধা পেয়েছেন ঢাকা যাওয়ার ঝামেলামুক্ত সেবা ও চিকিৎসা ব্যয়ে সাশ্রয় হয়েছে। বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন হার্ট ফাউন্ডেশনের সভাপতি আব্দুল মান্নান।

বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মিজানুর রহমান খোকন ও আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ মনোয়ার হোসেন সেলিম। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য এনামুল হকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ও বার্ষিক সাধারণ সভার আহ্বায়ক হাসেন আলী।

চিকিৎসা সেবার উন্নয়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন চিফ কনসালটেন্ট ও ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. রইস উদ্দিন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হার্ট ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও হার্ট ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি এমদাদুল হক আজাদ, হার্ট ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সম্পাদক মো: লিয়াকত আলীসহ ফাউন্ডেশনের সকল নির্বাহী সদস্যবৃন্দ। বার্ষিক সাধারণ সভায় জানানো হয়েছে, নতুন শিশু হৃদরোগ ইউনিট চালু হলে রাজশাহী ও আশপাশের জেলার অসংখ্য শিশু রোগী দ্রুত ও মানসম্মত চিকিৎসা পাওয়ার সুযোগ পাবে। আর কার্ডিয়াক অ্যাম্বুলেন্স যুক্ত হলে জরুরি রোগীদের সেবা অনেক বেশি কার্যকর ও সময়োপযোগী হবে।

রাজশাহী ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন, খুব শীঘ্রই হাসপাতালটিকে দুই’শ শয্যায় রুপান্তর করা হবে। সেইসাথে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের ভোগান্তির বিষয়টি মাথায় রেখে হাসপাতালের নিজস্ব ক্যান্টিন চালু করা হচ্ছে। পাশাপাশি রোগীর স্বজনদের রাত্রীযাপনে ভোগান্তি কমাতে স্বল্পমূল্যে হাপতাপালের ভেতরেই ৫০ শয্যার একটি আবাসন ব্যবস্থা প্রস্তুত করা হচ্ছে।