ঢাকা | নভেম্বর ২৭, ২০২৫ - ১১:১১ অপরাহ্ন

আত্রাইয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

  • আপডেট: Thursday, November 27, 2025 - 9:35 pm

আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগার আত্রাইয়ে আব্দুর রহিম শেখ (৪০) নামে একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠেছে। গত সোমবার রাতে বাড়ি থেকে ডেকে তুলে মারপিটের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান রহিম। গত বুধবার ময়নাতদন্ত শেষে সামাজিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হয়েছে। নিহত রহিম শেখ উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের দিঘীরপার পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হাজের শেখের ছেলে।

এ ঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রহিম শেখের স্ত্রী মর্জিনা বিবি ঘটনা সম্পর্কে জানান, গত প্রায় ১৫ বছর আগে চাচাতো ভাই আব্দুল খালেক শেখের কাছে তিন শতক বাড়ির জায়গা বিক্রি করে রহিম। দীর্ঘ বছর পর ওই জায়গা নামজারি করার জন্য খালেক শেখ রহিমের কাছে গত শনিবার ওই জমির কিছু কাগজপত্র এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি চায়। রহিম চাচাতো ভাইকে জানায় ২/৩দিন পরে কাগজপত্র দিবেন। এমন কথা শুনে চাচাতো ভাই খালেক ক্ষিপ্ত হয়ে চলে যায়।

এরপর গত সোমবার রাতে খাবার খেয়ে সবাই ঘুমিয়ে পরলে রাত অনুমান ১০টা নাগাদ চাচাতো ভাই খালেক এবং ভাতিজা আরিফ ও বারিকসহ ১৩/১৪জন এসে ঘুম থেকে ডেকে তুলে রহিমকে। এসময় রহিম শেখ দরজা খুলে বাড়ির বাহিরে বের হলে আবারো কাগজপত্র চায়। এসময় কাগজ দিতে না পারায় লোহার শাবলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করে গুরুত্বর জখম করে।

এসময় বৃদ্ধ মা রবিজান বেওয়া কোন রকমে এগিয়ে গেলে তাকেও মারপিট করে এবং ভাতিজা রকিবুলকেও মারপিট করে। পরে স্থানীয় লোকজন এসে রহিমকে উদ্ধার করে আত্রাই উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করালে সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকেলে মারা যান রহিম শেখ। পরে সেখানেই বুধবার সকালে ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ বাড়িতে এনে বাদ আসর সামাজিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

স্ত্রী মর্জিনা বিবি আরো জানান,এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই রহিম শেখের বড় বোন মরিয়ম বিবি বাদী হয়ে ভাতিজা আরিফ ও বারিকসহ এজাহার নামীয় ৮জন এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬জনকে আসামি করে আত্রাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুনসুর রহমান বলেন, রহিমকে হত্যার অভিযোগে বোন মরিয়ম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তবে গ্রেপ্তারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।