দুর্গাপুরে অপ্রাপ্তবয়সী কিশোরীকে বিয়ে করতে গিয়ে জরিমানা গুনলেন যুবক
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: ধুমধাম আয়োজনে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। কিছুক্ষণ পরেই বর পক্ষের লোকজন আসবে। শরবত আর মিষ্টি হাতে বর পক্ষের লোকজনকে বরণ করতেও প্রস্তুত কিশোরী কনের স্বজনরা।
হঠাৎ বরযাত্রীরা উপস্থিত হোন কনের বাড়িতে। ওদিকে, অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীর বিয়ের খবর পেয়ে কনের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু বিধিবাম, বিয়ে না হলেও বরকে গুনতে হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার দুপুরে উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের সাহাবাজপুর গ্রামে। বিয়ে বাড়ির আনন্দঘন মূহুর্তে হটাৎ নেমে আসে সুনসান নীরবতা।
অপ্রাপ্ত বয়সী কিশোরীর বিয়ে হচ্ছে এমন খবর পেয়ে সাহাবাজপুর গ্রামের সেই বিয়ে বাড়িতে পুলিশের সহযোগিতায় আকস্মিক হাজির হোন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা নূর তানজু। কনের বয়স না হওয়ায় বিয়ে বাড়িতে তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৭ এর ৭ (১) ধারায় বিয়ে করতে যাওয়া বরের ৪০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্থানীয়রা জানান, সাহাবাজপুর গ্রামের ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীর সাথে নওপাড়া গ্রামের মৃত দায়েম মন্ডলের ছেলে এনামুল হকের বিয়ের দিন ছিলো বুধবার। বিয়েতে বর আসলেও শেষমেশ বউ না নিয়েই বর এনামুলকে বাড়ি ফিরতে হয়েছে। সেই সাথে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) লায়লা নূর তানজু জানান, বাল্যবিবাহ একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বাল্যবিবাহ বন্ধ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সেই সাথে কনের বাবার মুচলেকা নেয়া হয়েছে। অল্প বয়সী কিশোরীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে এমন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত বাল্যবিয়ে বন্ধে উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। বাল্যবিবাহ রোধে উপজেলাজুড়ে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।











