ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৫ - ১০:৫৯ অপরাহ্ন

রাজশাহী নগরীতে ককটেল বিস্ফোরণের দায়ে ৪ আ’লীগ নেতা গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Wednesday, November 26, 2025 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: মহানগরীর শাহমখদুম থানা এলাকায় অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে সড়কে টায়ার জ্বালানো, ককটেল বিস্ফোরণ এবং জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আওয়ামী লীগের সক্রিয় চার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র শাহমখদুম থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি (৪২) ও একই ওয়ার্ডের যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রনি (৪০)। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগের উপ- ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রতন আলী (৩৪) এবং আওয়ামী লীগ কর্মী মানিক মিয়া (৪০)। তারা সকলেই রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার নওদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

গত ১০ নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ নওদাপাড়া সিটিহাট এলাকার নিকটে গ্রেপ্তারকৃতদের সঙ্গে আরও ৬০-৭০ জন ব্যক্তি টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং মশাল হাতে উসকানিমূলক স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে শাহমখদুম থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আসামিরা রাতের অন্ধকারে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরিত ককটেলের অংশ ও পুরাতন টায়ার জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে শাহমখদুম থানায় মামলা রুজু করে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে।

পরে গতকাল বুধবার দুপুর আড়াইটায় শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুমা মুস্তারীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই মুক্তারুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে আসামিদের নিজ নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত চারজনসহ মামলার পলাতক ও অজ্ঞাতনামা সহযোগীরা একযোগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নাশকতা, অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল। তাদের বিরুদ্ধে মহানগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত চারজনকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এছাড়া আরএমপি থানা ও ডিবি পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে মোট ১৭ জনকে আটক করেছে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত ৫ জন ও অন্যান্য মামলায় ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।