ঢাকা | নভেম্বর ২৬, ২০২৫ - ১:৩৩ পূর্বাহ্ন

মান্দায় নারী উন্নয়ন ফোরামের দুটি প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা গায়েব

  • আপডেট: Tuesday, November 25, 2025 - 9:14 pm

মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দা উপজেলায় নারী উন্নয়ন ফোরামের নামে বরাদ্দকৃত ১০ লাখ টাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন ছাড়াই আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাগজপত্রে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন দেখানো হলেও ফোরামের সদস্যরা জানেন না বরাদ্দের কথা; কেউ কোনো উপকরণও পাননি। ফলে উপজেলা জুড়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা।

সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারী উন্নয়ন ফোরামের ৪২ জন সদস্যের কেউই এই দুই প্রকল্প থেকে কোনো উপকরণ পাননি। বরাদ্দের ব্যাপারেও ছিল না তাঁদের কোনো ধারণা। কোথায় কাদের মাঝে এগুলো বিতরণ করা হয়েছে এনিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন নারী ফোরামের সদস্যরা।

এনিয়ে গত সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সার্থীর কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন নারী উন্নয়ন ফোরামের সদস্যরা। এর নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের নারী সদস্য প্রীতি রাণী।

তিনি বলেন, আমরা শুনছি নারী উন্নয়ন ফোরামের নামে দুটি প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। অথচ আমাদের কিছুই জানানো হয়নি। কারা এ টাকা লুটপাট করেছে সে বিষয়ে ইউএনও স্যারের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। জানা গেছে, সরকারি বার্ষিক উন্নয়ন তহবিলের (এডিপি) আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নারী উন্নয়ন কার্যক্রমে গুরুত্বপূর্ণ দুটি প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়।

এর মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণের নামে ৫ লাখ টাকা এবং গবাদি পশু বিতরণের নামে আরও ৫ লাখ টাকা। প্রকল্প দুটি উপজেলা এলজিইডির তালিকায় যথাক্রমে ১৪৮ ও ১৪৯ নম্বরে অন্তর্ভুক্ত এবং কাগজপত্র অনুযায়ী ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে উপজেলা পরিষদের সভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। নারী উন্নয়ন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও পরানপুর ইউপির সদস্য কমলা বেগম বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে নারী উন্নয়ন ফোরামের মাধ্যমে কিছুই দেয়া হয়নি। বরাদ্দ ছিল কিনা সেটাও আমাদের জানানো হয়নি।

কশব ইউপির নারী সদস্য আঞ্জুয়ারা ও সানোয়ারা বেগম বলেন, গত ৫ আগস্টের পর থেকে নারী ফোরামের সভাপতি না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কোনো বরাদ্দ বা বিতরণ সম্পর্কে কিছুই জানা নেই। আমাদের নামে বরাদ্দ নিয়ে কারা সুবিধা নিয়েছেন সেটি তদন্ত করে বের করা দরকার। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, আমি যোগদানের আগেই কাজগুলো সম্পন্ন হয়েছে। সেলাই মেশিন ও গবাদি পশু বিতরণ হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী বলেন, নারী উন্নয়ন ফোরামের নামে দুটি প্রকল্পে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়ে আত্মসাত করা হয়েছে এমন অভিযোগ করেন সংগঠনের সদস্যরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর নারী উন্নয়ন ফোরামের আর কোনো অস্তিত্ব নেই। তাই এ সংগঠনের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।