ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৫ - ১১:৩৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে ৭ ঘণ্টা পর রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার

  • আপডেট: Sunday, November 23, 2025 - 10:32 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে রেলপথ ৭ ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করা হয়েছে। রোববার রাত ৮ টার দিকে এই কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এর আগে রোববার আবারও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীদের রেলপথ অবরোধ কর্মসূচির কারণে ছয়টি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়ে। এতে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগে পড়েছে। রোববার দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেলওয়ে স্টেশনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।

এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। শিক্ষার্থীরা জানান, ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে ও পুলিশ কর্তৃক সাধারণ শিক্ষার্থীর ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন তারা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় রেলওয়ে স্টেশনে আসেন পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এসময় তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তারা রেললাইন থেকে সরতে চাননি। এ সময় পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে তিনটি ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা আরও তিনটি মোট ছয়টি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থী মাহবুব আলম বলেন, আমরা এর আগে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছি। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে গত শনিবার এবং গতকাল রোববার আন্দোলনে নেমেছি।

জানা গেছে, রাজশাহী-খুলনার মধ্যে চলাচল করা কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ফরিদপুরের মধ্যে চলাচল করা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, রাজশাহী-ঢাকার মধ্যে চলাচল করা পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেন রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছে। এসব ট্রেনের যাত্রীরা ট্রেনে অবস্থান করছেন। এছাড়া ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বনলতা এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাড়ি এক্সপ্রেস, বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে।

অপরদিকে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীদের প্ল্যাটফর্মে এবং ট্রেনের সিটে বসে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। তারা জানান, ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও ট্রেন ছাড়েনি। ট্রেন না ছাড়ার কারণে বসে থাকতে হচ্ছে আমাদের। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে জানাতে পারছে না কখন ট্রেন ছাড়বে। অনেকেই টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে বাসে বিভিন্ন গন্তব্যে যাত্রা করেছে।

এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের চিফ অপারেটিং কর্মকর্তা আহসানুল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমরা এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। বর্তমানে ৬টি ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্টেশনে ছয়টি ট্রেন আটকা পড়েছে। অনেকে কাউন্টার থেকে টিকিটের টাকা ফেরত নিচ্ছেন। গতকাল ও আজ মিলে কোনোভাবেই ট্রেনের সিডিউল মেলানো যাবে না।

এদিকে রোববার রাত ৮ টার দিকে অবরোধকারীদের পক্ষ থেকে ঘোষণা দিয়ে আবরোধ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানানো হয়।