ঢাকা | নভেম্বর ২৩, ২০২৫ - ১১:০৭ অপরাহ্ন

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত

  • আপডেট: Sunday, November 23, 2025 - 9:10 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ড. আফরোজা বিলকিস বলেছেন, প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের অপকর্ম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে রোববার দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়ন ও বাজারে সুস্থ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করতে ‘প্রতিযোগিতা আইন ২০১২’-এর ভূমিকা কর্মশালার আয়োজন করে প্রতিযোগিতা কমিশন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য ড. আফরোজা বিলকিস।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক গবেষণায় দেখা গেছে বাজারে প্রতিযোগিতা-বিরোধী কার্যক্রম রোধ করা গেলে উৎপাদনশীলতা ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় এবং পণ্যের দাম কমে ২৩ থেকে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক মানের বাজার কাঠামো গড়ে তুলতে প্রতিযোগিতা আইনকে কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতেই কমিশন কাজ করছে।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এ কর্মশালায় ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা এবং বাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের চলমান অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাজারে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতার পরিবেশ বজায় রাখতে প্রতিযোগিতা এই আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ষড়যন্ত্রমূলক যোগসাজশ, বাজারে একচেটিয়া দখল সৃষ্টি, ওলিগপলি আচরণ কিংবা কর্তৃত্বের অপব্যবহার রোধই এই আইনের মূল লক্ষ্য। এর ফলে ভোক্তা স্বার্থ যেমন সুরক্ষিত হয়, তেমনি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশও নিশ্চিত হয়।

কর্মশালায় প্রতিযোগিতা আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলা হয়, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পণ্য ও সেবার ক্রয়-বিক্রয়, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠান এই আইনের আওতায় পড়বে। তবে জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু সরকারি নিয়ন্ত্রিত খাত এই আইন থেকে অব্যাহতি পেয়ে থাকে। এসময় বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যপরিধি, দায়িত্ব ও গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপনা করা হয়। কমিশন বাজারে ‘কার্টেল’ গঠন, অবৈধ যোগসাজশ, কর্তৃত্বের অপব্যবহার, অননুমোদিত জোটবদ্ধতা এসব প্রতিযোগিতা বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।

কর্মশালায় জানানো হয়, কমিশন ইতোমধ্যে মোট ৫৩টি মামলার রায় প্রদান করেছে এবং ১২ কোটি ৪ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার খাত নিয়ে ২১টি গবেষণা সম্পন্ন হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়াতে একাধিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, প্রতিযোগিতা আইন বাস্তবায়ন হলে রাজশাহী অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ আরও গতিশীল ও স্বচ্ছ হবে। ভোক্তারা ন্যায্যমূল্যে মানসম্পন্ন পণ্য ও সেবা পাবেন। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে জেলার সব স্তরের মানুষের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করা হবে।