ঢাকা | নভেম্বর ২১, ২০২৫ - ১১:৫২ অপরাহ্ন

শিরোনাম

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিরপরাধ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা, ৬ পুলিশ অবরুদ্ধ

  • আপডেট: Friday, November 21, 2025 - 10:55 pm

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে অভিযানে গিয়ে ‘নিরাপরাধ ব্যক্তিকে থাপ্পড় মারা ও হ্যান্ডকাপ পরানোর’ অভিযোগে একজন এসআইসহ ৬ পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে উত্তেজিত জনতা।

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাচোল উপজেলার হাঁকরইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এক ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মধ্যস্থতায় অতিরিক্ত পুলিশসহ থানার ওসি গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।

পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যায় নাচোল থানার এসআই আতাউর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল হাঁকরইলে মাদকবিরোধী অভিযানে যান। এ সময় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর একটি বাড়ি থেকে স্থানীয়ভাবে তৈরি চোলাই মদ উদ্ধার করেন তারা। তবে ওই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেননি।

অভিযান চলাকালে মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্ত্বেও মজিবুর রহমান নামে একজনকে আটক করেন এবং ঘটনাস্থলে তাকে দুই থাপ্পর মারেন এসআই আতাউর রহমান। পরে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলেন। এ সময় গ্রামবাসী চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে পুলিশ সদস্যদের। নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাদিকুল বলেন, মজিবুর রহমান গ্রামের একজন সাধারণ কৃষক।

তার সঙ্গে মাদকের কোন সম্পৃক্ততাই নেই। অথচ তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা এবং দুর্ব্যবহার করলে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে অবরুদ্ধ করে। গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ সেখানে উপস্থিত হয়ে পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।

ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম বলেন, কাউকে আটক করা বা হ্যান্ডকাপ পরানোর আগে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল পুলিশের। কিন্তু সেটা না করেই মজিবুরকে হ্যাণ্ডকাপ পরিয়ে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছিল। এ সময় গ্রামের লোকজন প্রতিবাদ করে। তিনি বলেন, গ্রামের লোকজনের দাবি প্রকৃত মাদকসেবীদের ধরুক পুলিশ। কিন্তু নিরাপরাধ মানুষ যেন হয়রানি না হয়।

এ ব্যাপারে নাচোল থানার ওসি শহিদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা না বলেই সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে আবার কল দেয়া হলে তিনি রিসিভ করেননি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়, বিষয়টি এমন নয়। মাদক উদ্ধারে গিয়ে একজনকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু স্থানীয়রা পুলিশকে জানায় ওই ব্যক্তি নিরাপরাধ। মাদকের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা নেই। তখন তাকে ছেড়ে দিয়ে চলে আসে পুলিশ সদস্যরা।