নাচোল উপজেলা স্কুলকে বিয়ামের অন্তর্ভুক্ত করার আশ্বাস দিলেন অতিরিক্ত সচিব
নাচোল (চাপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: বিয়াম ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) আব্দুল মালেক ( অতিরিক্ত সচিব) শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নাচোল উপজেলা স্কুল পরিদর্শন করেছেন।
স্কুলে পৌঁছালে মহাপরিচালক আব্দুল মালেককে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিয়াম ফাউন্ডেশনের প্রটোকল ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আকবর, নাচোল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, নাচোল সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, নাচোল উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া, মোজাম্মেল হক মন্টু স্যার, প্রভাষক নুর কামাল, ধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খান, খুরশেদ মোল্লা সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, মুন্সী হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম, ডা রফিকুল ইসলাম।
উপজেলা স্কুলের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক স্বাগত বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ২০০৮ সালে স্থাপিত হয়। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের স্যারের উদ্যোগে নাচোলকে শিক্ষার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে এ প্রতিষ্ঠানের পথচলা শুরু হয় এবং তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন। বর্তমানে তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব। তিনি আরো বলেন, প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের মূল উদ্দেশ্য হলো সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা এবং শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানটিকে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া। পরিদর্শন শেষে এক আলোচনা সভায় মহাপরিচালক আব্দুল মালেক স্কুলের শিক্ষণ পরিবেশ, অবকাঠামো এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করেন।
তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে বিয়াম ফাউন্ডেশনের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে নীতিগত আশ্বাস প্রদান করেন। এই অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, মহাপরিচালক স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিয়ামের সকল নিয়ম-কানুন, পরিচালনার কাঠামো এবং আর্থিক বিধি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি স্পষ্ট করে দেন যে বিয়ামের আওতাভুক্ত হলে প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই উচ্চমানের শিক্ষা নিশ্চিতকরণে ফাউন্ডেশনের সকল নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। মহাপরিচালকের এই আশ্বাসের ফলে নাচোল উপজেলা স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
তারা মনে করছেন, বিয়াম ফাউন্ডেশনের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে স্কুলটির শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাঠামো আরও শক্তিশালী ও উন্নত হবে। স্থানীয় শিক্ষা কর্মকর্তারা এই পদক্ষেপকে শিক্ষার গুণগত পরিবর্তনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখছেন। মহাপরিচালক আব্দুল মালেক বলেন, শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ও নিয়মানুবর্তিতা দেখে আমি সন্তুষ্ট। আমরা চাই, এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও যেন উন্নতমানের শিক্ষার সুযোগ পায়। বিয়ামের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে সেই লক্ষ্য অর্জিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।









