বেগম খালেদা জিয়াকে এদেশের মানুষ কখনো ছেড়ে যাবে না: মিলন
স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের মানুষকে ভালোবেসে তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্যাতন, জেল ও জুলুমের পরেও দেশ ছেড়ে চলে যাননি। তিনি নিজ বাড়িঘর ও সন্তান হারিয়েও এদেশের মানুষকে নিজের ছেলে ও আপনজন মনে করে দেশেই রয়ে গেছেন।
এর প্রতিদান হিসেবে মানুষ তাঁকে বার বার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন। গতকাল বুধবার বিকেলে মিয়াপুর বাজারে পবা উপজেলা যুবদলের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু আগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মিলন বলেন, বিএনপি জনগণের দল। এই দল যখন দেশ সেবা করার সুযোগ পায়, তখন মানুষ নিরাপদে থাকে। দেশের উন্নয়ন হয়। কারণ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে যখন সিপাহী-জনতা আন্দোলন করে আটক অবস্থা থেকে বের করে দেশ সেবার সুযোগ দেন। তখন তিনি যুযোগ পেয়েই দেশ সেবায় নিজেকে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি দেশের উন্নয়নে প্রথমে কৃষির উপরে জোর দেন। তিনি খাল খনন থেকে শুরু করে সেচকার্য পরিচালনা করার জন্য শ্যালোমেশিন আমদানি করেন। এতে করে দেশ দ্রুত উন্নয়নের দিকে ধাবিত হয়।
মিলন বলেন, জিয়াউর রহমানের হত্যার পরে তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ঘর থেকে বেড়িয়ে রাজনীতিতে আত্মনিয়োগ করেন। তিনি স্বৈরাচার পতনের আন্দোলন শুরু করেন। সে সময়ে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও শেখ হাসিনা ও জামায়াতে ইসলামীর আমির গোলাম আজম একসাথে যুগপদ আন্দোলন শুরু করলেও ১৯৮৬ সালে একজন জাতীয় বেঈমান, আরেকজন জাতীয় মোনাফেকী করে এরশাদের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের সাথে না যেয়ে একাই আন্দোলন করতে থাকেন। এজন্য তার নাম হয় আপোসহীন নেত্রী। সেইসাথে গণতন্ত্রের মানষ কন্যা হিসেবে উপাধী পান।
তিনি বলেন, ওয়ান ইলেভেন এর সময়ে বেগম জিয়াকে দেশ ছাড়তে অনেক চাপ দেয়া হয়েছিলো। তার ছেলে দুইজনকে আটক করে অমানসিক নির্যাতন করেছিলো। সেই নির্যাতনের চিৎকার তাঁকে ফোন করে শোনানো হত। এতেও তিনি পিছুপা হননি। বেগম জিয়া যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন পর্যন্ত তিনি এদেশের মানুষের পাশেই থাকবেন বলে জানান তিনি। সেইসাথে আসছে নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তব্য শেষে তিনিসহ উপস্থিত নেতাকর্মীকে নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি নিয়ে ডাঙ্গের হাটে গিয়ে শেষ করেন। সেখানে তিনি ৩১দফা লিফলেট বিতরণ ও গণসংযোগ করেন তিনি।
বর্ণাঢ্য র্যালি ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক নাজিম উদ্দিন, সদস্য সচিব শাহীন রেজা সান্নান, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে.এইচ রানা শেখ ও ফরিদুল ইসলাম সাহেব, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তাইজুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, কামরুজ্জামান কামরু, আবুল কাশেম, সাবেক সদস্য মাজদার হোসেন, সদস্য রবিউল ইসলাম রবি, সাজ্জাদ হোসেন, শফিকুল, রনি, এজাজ, বাবু, সাজেদুর, জনি, হৃদয়, হাসিবুল, দুলাল ও রবি, পবা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, ও সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।











