ঢাকা | নভেম্বর ১৫, ২০২৫ - ১১:৪৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

রাজশাহী-৩ আসনে স্থানীয় প্রার্থীর দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

  • আপডেট: Saturday, November 15, 2025 - 9:43 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে স্থানীয় প্রার্থী না দেওয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে এই আসন।

শনিবার বিকেলে নওহাটা বাজারে সহস্রাধিক বিএনপি নেতাকর্মী কান্না ও ক্ষোভ নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেন। বিক্ষোভ শেষে তাঁরা রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের নওহাটা কলেজ মোড়ে শুয়ে পড়েন। কেউ কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ শ্লোগানে ফুঁসে ওঠেন।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, রাজশাহীর ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটিতে স্থানীয় প্রার্থী দেওয়া হলেও রাজশাহী-৩ আসনে বহিরাগত প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক শফিকুল হককে। তিনি দীর্ঘদিন স্থানীয় রাজনীতি থেকে দূরে ছিলেন এবং রাজশাহী-২ (সদর) আসনের ভোটার। এ কারণে তাঁর প্রতি তৃণমূল নেতাকর্মীদের আস্থাহীনতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেন তাঁরা।

বিক্ষোভে অংশ নেন পবা ও মোহনপুর উপজেলার বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের শতাধিক নেতাকর্মী। এসময় বিক্ষোভকারীরা জানান, দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন স্থানীয় নেতা রায়হানুল আলম—মিছিলে, আন্দোলনে, দলে দলে পাশে ছিলেন তৃণমূলের। অথচ তাঁকে বাদ দিয়ে বহিরাগতকে প্রার্থী করায় স্থানীয় নেতারা অপমানিত ও ভেঙে পড়েছেন।

পবা উপজেলা শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিনু বিক্ষোভে আবেগঘন কণ্ঠে বলেন, দলের কঠিন সময়ে শ্রমিক দল ছিল রাজপথে, রক্ত দিয়েছি, লাঠি খেয়েছি। অথচ আজ আমাদেরই এলাকায় বহিরাগত প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে! তৃণমূলকে অপমান করলে দল শক্তিশালী হয় না, দুর্বল হয়। আমরা চাই স্থানীয়, পরীক্ষিত, একনিষ্ঠ নেতার হাতে এই আসনের দায়িত্ব দেওয়া হোক। বহিরাগত প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করলে রাজশাহী-৩ আসনে গণমানুষের ক্ষোভ আরও বাড়বে।

সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা মহাসড়কে শুয়ে পড়েন- একদিকে ক্ষোভ, অন্যদিকে অসহায় কান্না। তাদের হাতে ছিল ব্যানার, ফেস্টুন- স্থানীয় প্রার্থী চাই, তৃণমূলের রক্ত-ঘামে গড়া আন্দোলনের মূল্যায়ন চাই।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন, দামকুড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল হাজি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আউয়াল হোসেন, প্রজন্ম-৭১-এর জেলা আহ্বায়ক মিলন হোসেন ও বিএনপি নেতা জিল্লুর রহমান।