ঢাকা | নভেম্বর ১৫, ২০২৫ - ২:২৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দেশ প্রেমিকরা কখনো দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুল হক মিলন

  • আপডেট: Friday, November 14, 2025 - 10:35 pm

স্টাফ রিপোর্টার: যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না হওয়ার চর এলাকায় অনেক উন্নয়ন স্থবির হয়ে আছে। তবে সাবেক এমপি ও মন্ত্রী বিএনপির প্রয়াত নেতা কবীর হোসেন ও বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক এমপি ও মেয়র মিজানুর রহমান মিনু চর এলাকার জন্য অনেক উন্নয়ন করেছিলেন। সেই উন্নয়ন আবার শুরু করা হবে। দ্রুত সময়ে মধ্যে চর নিয়ে একটি পরিকল্পনা করা হবে। শুধু তাইনয় সর্ব প্রথম চরের যোগাযোগ ব্যবস্থা কিভাবে উন্নয়ন করা সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল হলে এখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে। সেইসাথে এখানে হাসপাতাল ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হবে।

শুক্রবার বিকেলে চর নবীনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হরিপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের চরমাঝারদিয়ার এর আয়োজনে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১দফা বাস্তবায়নের পক্ষে গণসচেতনতা মূলক প্রচারণায় আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রস্তুতি গ্রহনের লক্ষে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নদী পথে সহজ কোন ব্যবস্থা সরকারীভাবে করা যায় কিনা সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন তিনি। এখানকার কৃষি পন্য যেন তারা ভালভাবে বিক্রি করতে পারে এবং নায্যমূল্য পান সে বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা প্রচার করা হয়েছে। এই দফার মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সকল উন্নয়ন এর কথা উল্লেখ করা আছে। সেইসাথে দৈনন্দিন এবং পররাষ্ট্র নীতি কিভাবে চলবে সে বিষয়ে পুরো দিক নির্দেশনা সেখানে দেয়া আছে। এছাড়াও দেশে আর যেন কোন স্বৈরাচার ও ফ্যাসিস্ট জন্ম নিতে না পারে সে বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

মিলন বলেন, আগামী দিনে বাংলাদেশ কিভাবে গড়তে চান সে ব্যাখা তিনি দেন। তিনি বলেন যারা দেশ প্রেমিক তারা কখনো দেশ ছেড়ে পালাতে পারেনা। কিন্তু শেখ হাসিনা একবার নয় তিনি তিনবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কোনভাবেই এদশে ছেড়ে পালাননি। ওয়ান-ইলেভেন এর সময় তাঁকে দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য অনেক চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিলো। শুধু তাইনয় বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোকে হত্যার উদ্দেশ্যে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করতো। এরপরেও তিনি মাথানত করেননি। তিনি বলেছিলেন আমার দুইটা নয়। আমার সন্তান পুরো দেশের মানুষ।

তিনি আরো বলেন, বেগম জিয়াকে ঐ ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান বেগম জিয়াকে মেরে ফেলার জন্য মিথ্যা মামলায় জেলে দিয়েছিলো। সোয়া ছয় বছর তিনি কারাগারে ছিলেন। তিনি ছয়বার মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছেন। এখন তিনি ঠিকভাবে কথাও বলতে পারেননা। তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারী প্রথমার্ধেই দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধী দল জামায়াতে ইসলাম নির্বাচন বানচাল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তারা এক সময়ে বলছে পিয়ার পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাবেনা। আবার বলছে সংস্কার শেষ না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহন করবেন না। এখন আবার চলছে গণভোট ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোনভাবেই করতে দেয়া হবেনা।

উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী ১৯৪৭ সালে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের সময়ে ভারতের পক্ষ নিয়েছিলো। যখন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তারা পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করেছে। শুধু তাইনয় ১৯৮৬ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাথে নির্বাচনে অংশগ্রহন করে জাতীয় মোনাফেক এ পরিণত হয়েছে। এছাড়াও বিএনপি সাথে নির্বাচন করে এমপি মন্ত্রী হওয়ার পরে আবারও এই মোনাফেকরা আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির সাথে এক হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলো।

উপস্থিত ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, নওহাটা পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র আলহাজ্ব শেখ মকবুল হোসেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মুক্তার হোসেন মুক্তার, রাজশাহী মহানগর মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আনসার আলী, রাজপাড়া থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি শওকত আলী, জলা বিএনপির সদস্য ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, মোহনপুর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম উদ্দিন, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদুল ইসলাম সাহেব, পবা উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কে এইচ রানা শেখ, বিএনপি নেতা মতিউর রহমান মতি, সিরাজুল ইসলাম কালু, মহানগরের ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র আহ্বায়ক হাসিবুল হোসেন, হরিপুর ইউনিয়ন ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুবদল নেতা রাজু আহমেদ, সুরুজ আলী, তুহিন আলী, সুজন, রুবেল ও মানিক, পবা উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেন।