নারীনেত্রীকে জামায়াত কর্মী কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
স্টাফ রিপোর্টার: নারীর প্রতি সহিংসতা এবং শারীরিক নিপীড়নের প্রতিবাদে পবা-মোহনপুরের জনগণের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
নগরীর অলকার মোড়ে একটি রেস্টুরেন্টের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন।
সভাপতিত্ব করেন হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুর রহমান।
পবার হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, পবা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ, হরিয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব বাদশা মিয়া, ভূক্তভোগি মহিলা দল নেত্রী নিলুফা ইয়াসমিন, নুরবানুসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মী।
সংবাদ সম্মেলনে নিলুফা ইয়াসমিন এর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পবা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি উল্লেখ করেন নিলুফা ও তার বোন নিজ এলাকা হরিয়ান ইউনিয়নের আশরাফ এর মোড়সহ অন্যান্য স্থানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ৩১ দফা বাস্তবায়নে লিফলেট বিতরণ ও ধানের শীষের পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচারণা করেন। প্রচারণা শেষে তারা আশরাফ এর মোড়ে গাড়ি থেকে নেমে ছেলের জন্য খাবার কিনতে গেলে বিএনপি নেতা রজব আলী তাকে ডাকেন এবং কথা বলতে থাকেন।
এমন সময়ে পবা উপজেলার হরিয়ান ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা ক্রস ফায়ারের আসামী নূরুল ইসলাম মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) মসজিদ থেকে নামাজ আদায় করে বেরিয়ে এসে হঠাৎ করে ধানের শীষের প্রার্তীকের প্রার্থীকে গালিগালাজ শুরু করেন। শুনতে পেয়ে তার সাথে থাকা বোন নুরবানু এর প্রতিবাদ করতে গেলে নূরুল তার পায়ের চামড়ার স্যান্ডেল খুলে তাদের দুইবোনকে মারপিট শুরু করেন। তার বোন নুরবানুকে ঘাড়ে আঘাত করেন। এ সময়ে জনগণ এসে তাকে উদ্ধার করে রাস্তায় তুলে দিলে নূরুল দৌড়ে এসে তার পেটে আবারও লাথি মারেন। সেইসাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
তিনি আরো উল্লেখ করেন নূরুল তাকে জামায়াতে ইসলামীর হয়ে ভোট করার কথা বলেন।
তিনি অস্বীকার করে বলেন, বিএনপির হয়ে কাজ করছি। তিনি একজন বিএনপির কর্মী। তিনি কেন জামায়াতের ভোট করবেন। এই কথা শোনার পরে নূরুল ইসলাম ক্ষীপ্ত হয়ে এই কান্ডগুলো করেন। সেইসাথে বলতে থাকেন নির্বাচনে জামায়াত বিজয়ী হলে তোর ধানের শীষের প্রার্থীকে এবং তোদেরকেও দেখে নেব বলে গালি দিতে থাকেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিলুফার বোন নূরবানু শংকা করে বলেন, জামায়াতে ইসলামী দল যদি ক্ষমতায় আসে, তাহলে তাদের মত নারীদের অস্তিত্ব থাকবেনা। রাতেই যদি জামায়াতকে বিজয়ী ঘোষনা করে তাহলে সকাল থেকেই তারা নির্যাতনের স্বীকার হবেন। জামায়াতকে তারা চাননা বলে উল্লেখ করেন। সেইসাথে তারা পবাবাসী ধানের শীষের প্রার্থীকে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ জানান। সেইসাথে তাদেরক একজন পুরুষ মানুষ হয়ে গায়ে হাত দিয়েছে এবং মারপিট করেছে এর সুষ্ঠু বিচার ও নূরুলকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান। এ নিয়ে কাটাখালী থাানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।











