ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৫ - ১:৫৩ অপরাহ্ন

শিরোনাম

আদিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী ওয়ানগালা উৎসব উদযাপন

  • আপডেট: Saturday, November 8, 2025 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে আদিবাসী সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী ‘ওয়ানগালা’ ও ‘লবান’ (নবান্ন) উৎসব উদযাপিত হয়েছে।

গারো, শাঁওতাল, পাহাড়িরা, মাহালি, ওঁরাও এই পাঁচ সম্প্রদায় প্রতিবছর তাদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে এবং নতুন ফসল খাওয়ার অনুমতি চেয়ে এই উৎসবটি পালন করে আসছেন। এ বছরও গতকাল শনিবার নগরীর বাগানপাড়ায় অবস্থিত উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গীর্জা প্রাঙ্গণে দেবতাদের পূজার মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিক শুরু হয়। এই অনুষ্ঠানে গারো শিল্পীরা তাদের নিজস্ব ভাষায় গান পরিবেশন করেন, যা উৎসবে উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।

উৎসবের আলোচনা পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের ডিডি বিশপ জের্ভাস রোজারিও। তিনি বলেন,“বাংলাদেশ একটি বহু-জাতি, ভাষা ও সংস্কৃতির বৈচিত্র্যময় অসাম্প্রদায়িক দেশ। এই ধরনের উৎসবের মাধ্যমে জাতিগত ঐতিহ্য রক্ষায় আমাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করা উচিত।” তিনি আরো বলেন,“ঐতিহ্যবাহী উৎসব ওয়ানগালা ও লবান আমাদের একতা এবং সমন্বয়কে প্রতিফলিত করে।”

রাজশাহী অঞ্চলের কারিতাস বাংলাদেশের আঞ্চলিক পরিচালক ড. আরোক টপ্য, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী কাথলিক ধর্মপ্রদেশের ভিকার জেনারেল ফাদার ফাবিয়ান মারান্ডা, রাজশাহী নানকিং গ্রুপের প্রোপাইটর এহসানুল হুদা, রাজশাহী পার্লার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিসেস রুকসানা হুদা এবং উত্তম মেষপালক ক্যাথিড্রাল গীর্জার পালকীয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফ্রান্সিস সরেন। তারা সবাই গারো সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

রাজশাহী ওয়ানগালা ও লবান উৎসব উদযাপন কমিটির নকমা লোটাস চিসিম বলেন, “ওয়ানগালা ও লবান আজ শুধু একটি অনুষ্ঠান নয়, এটি আদিবাসীদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষার একটি অনবদ্য আন্দোলন। আমরা আমাদের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার জন্য এ উৎসবটি পালন করি।”