রামেক হাসপাতালে ছাদের কার্নিশ ভেঙে শিশু আহত
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ছাদের কার্নিশ ভেঙে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর শিশু (৫) আহত হয়েছে। আহত শিশুটি বর্তমানে রামেক হাসপাতালের ভর্তি রয়েছে। গত সোমবার দুপুরে হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনাটি ঘটে। আহত শিশু মিম্মা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার মোহাম্মদ সামিউল হোসেন ও হাসি বেগমের মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা থেকে মোহাম্মদ সামিউল হোসেন তার স্ত্রী হাসি বেগম ও মেয়েকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগে আসেন। এসময় হঠাৎ করে বিভাগের ছাদের কার্নিশের একটি অংশ ভেঙে নিচে পড়ে শিশুটি মাথায় আঘাত পায়। পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শিশুটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর ১টার দিকে মিম্মাকে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করার নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ভবনটির কিছু অংশ অনেক পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সময়মতো মেরামত না করায় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে মিম্মার বাবা মোহাম্মদ সামিউল হোসেন বলেন, টিকিট কেটে ডাক্তার দেখানোর জন্য বসে ছিল। এসময় ছাদের একটি কার্নিশ ভেঙে পড়ে মাথায় কেটে যায়। এই ঘটনার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মিম্মার চিকিৎসা করছে। তারাই সব খরচ বহন করছে। আমাদের থাকার জন্য একটি কেবিন দিয়েছে। এখন মেয়ে ভালো আছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. শংকর কুমার বিশ্বাস বলেন, সোমবার দুপুরে ফিজিক্যাল মেডিসিন বিভাগের ছাদের কার্নিশ ভেঙে এক শিশু আহত হয়। এরপর তাকে পরীক্ষা করে দেখা যায় তেমন গুরুতর কিছু না, সে ভালো আছে। চিকিৎসা চলমান আছে। তবে কেবিনে চিকিৎসার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন, এটি ওই ওয়ার্ডেরই একটি অংশ, কেবিন না। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এফএম শামীম আহমেদ বলেন, আমাদের হাসপাতালটি অনেক পুরাতন। এটি রক্ষণাবেক্ষণ করেই চলতে হয়। এই কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনার পর থেকে আমার দ্রুত বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছি। পাশাপাশি তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। এখন সে ভালো আছে।











