রাজশাহীতে তিনদিনে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর বাজারে ৩ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। তিনদিন আগে বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
মঙ্গলবার সেই পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়েছে। এখন বাজারে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা কেজিতে। হটাৎ করে পেঁয়াজের এই দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা হতভম্ব।
আড়তদাররা বলছেন, ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে সরবরাহ সঙ্কট দেখা দিয়েছে। যে পরিমাণ পেঁয়াজ বাজারে আসছে, তা যথেষ্ট নয়। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আমদানি কম হওয়া ও পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হওয়ায় মজুদও কমে এসেছে, তাই মোকামে দাম বেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে সাধারণ ক্রেতারা বলেন, বাজারে পেঁয়াজের কোন ঘাটতি নেই। হটাৎ অসময়ের বৃষ্টিতে এই অঞ্চলের পেঁয়াজ আবাদ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই অবস্থায় বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা বাজারে দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সরকার বিষয়টি হস্তক্ষেপ করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
দেশে রবি মৌসুমের শুরু হয় অক্টোবরের মাঝামাঝি। রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর, কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ীসহ বিভিন্ন জেলায় পেঁয়াজের রোপণ শুরু হয়েছে কিছুটা দেরিতে, ফলে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে সময় লাগবে। এ অবস্থায় সময়মতো আমদানি অনুমোদন না পেলে বাজার আরও অস্থিতিশীল হওয়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এখন ব্যবসায়ীরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) আবেদন করেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ে জমা পড়েছে প্রায় তিন হাজার আবেদন। সরকারি হিসাবে, দেশে বছরে ৩৫ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও গত মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৩৮ লাখ টন।











