ঢাকা | নভেম্বর ৪, ২০২৫ - ৫:৫৫ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী থেকে পলাতক ডিআইজি এহসান উল্লাহ ৭ দিনেও যোগ দেননি কর্মস্থলে

  • আপডেট: Monday, November 3, 2025 - 10:30 pm

স্টাফ রিপোর্টার: ক্রসফায়ার ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠা পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এহসান উল্লাহ ৭ দিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। গত বুধবার রাজশাহীর পুলিশ একাডেমি সারদা থেকে তিনি নিখোঁজ হন। তবে ঘটনার পরদিন ডাকযোগে ছুটির আবেদন পাঠান তিনি। যদিও এটি গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, বিসিএস ২০ ব্যাচের কর্মকর্তা পুলিশ একাডেমির অ্যাডমিন অ্যান্ড লজিস্টিকস শাখার দায়িত্বে ছিলেন ডিআইজি এহসান উল্লাহ। তিনি বরিশালের পুলিশ সুপার থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।

পুলিশ একাডেমির পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৯ অক্টোবর বুধবার সকাল থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত। অদ্যাবধি তিনি কর্মস্থলে যোগ দেননি। তবে তিনি পরদিন বৃহস্পতিবার ডাকযোগে একটি ছুটির আবেদন পাঠিয়েছেন। যেটি গৃহীত হয়নি। তার অনুপস্থিতির কারণে একটি প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমির সারদার অধ্যক্ষ অতিরিক্ত আইজিপি তৌফিক মাহবুব চৌধুরী জানান, এহসান উল্লাহ গত বুধবার থেকে নিজ কর্মস্থলে অনুপস্থিত। তার ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, একজন এএসপি থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দেওয়া ছাড়া কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই। কোনো ব্যবস্থা নিতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিতে পারেন। আমরা ডিআইজি এহসান উল্লাহর নিখোঁজের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন পাঠিয়েছি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি সারদায় কর্মরত ছিলেন ডিআইজি এহসানউল্লাহ। গত বুধবার সকালে পুলিশের একটি দল সারদা পুলিশ একাডেমিতে তাকে আটক করতে অভিযান পরিচালনা করেন। এখবর আগে থেকেই জেনে যান ডিআইজি এহসান উল্লাহ। পরে আটকের খবর জানতে পেরে তিনি একাডেমি থেকে আত্মগোপনে চলে যান। ডিআইজির পালানোর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ বিভাগসহ সারাদেশ ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।