বাঘায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সবাই পলাতক
বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় মুন্নি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে ডিজেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার বিকালে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী সুরুজ আলী (২৮) ও তার বাবা-মা ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে মুন্নি খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে সুরুজ আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। সুরুজ আলী দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাড় করতে তিনি প্রায়ই স্ত্রী মুন্নির ওপর নির্যাতন চালাতেন এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে একই কারণে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিবাধ হয়।
একপর্যায়ে সুরুজ আলী ধান সেচের জন্য ঘরে রাখা ডিজেল এনে মুন্নির শরীরে ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। আগুনে দগ্ধ হয়ে মুন্নি চিৎকার দিলে পরিবারের অন্য সদস্যরা দৌড়ে এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং তাকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অখিল পাল তাকে রামেকে পাঠান।
খবর শুনে তার বাবা মাসুদ রানা ঢাকার কর্মস্থল থেকে হাসপাতালে আসেন। এর কিছুক্ষণ পরে বিকাল আনুমানিক ৫টার সময় রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তার মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর বিশ্বাস জানান, গত শনিবার সকালে মুন্নিকে হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
দুপুরে স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার অনুমতি চান, তাই ছাড়পত্র দেয়া হয়। কিছুক্ষণ পর রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে আবারও জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর বিকালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঘা থানার ওসি আ. ফ. ম. আসাদুজ্জামান বলেন, গৃহবধূর পিতা শনিবার রাতে এসে মৌখিকভাবে আমাকে ঘটনার বিষয়ে জানিয়েছেন। সকালে তার মেয়ের জানাজা শেষে থানায় মামলা করবেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।











