ঢাকা | অক্টোবর ১৯, ২০২৫ - ১:০৬ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বারিন্দ মেডিকেলে আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও সাইবার সুরক্ষা সেমিনার অনুষ্ঠিত

  • আপডেট: Saturday, October 18, 2025 - 9:35 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আত্মহত্যা এখন শুধু ব্যক্তিগত নয়, সামাজিক ও জাতীয় সংকটে পরিণত হচ্ছে। অনলাইন ও অফলাইন উভয় জায়গায় অনিরাপত্তা এবং অসংবেদনশীল আচরণ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

এ অবস্থায় সমাজের প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে, সহমর্মিতার মানসিকতা গড়ে তুলতে হবে এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে হবে। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ অডিটরিয়ামে ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধ, মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষতিকর দিক ও সাইবার সুরক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেছেন।

সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ, মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষতিকর প্রভাব এবং সাইবার সুরক্ষা— এই তিনটি ইস্যু সমাজে গভীরভাবে প্রভাব ফেলে। তাই সমাজে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি, সোশ্যাল মিডিয়ার অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব এবং অনলাইন নিরাপত্তাহীনতা তরুণ প্রজন্মকে নতুনভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী রোটারেক্ট ক্লাব অব মেট্রোপলিটনের প্রেসিডেন্ট নাজিফা ইফরীত।

সঞ্চালনা করেন ক্যাব ইয়ুথ গ্রুপ রাজশাহীর সভাপতি রোটারেক্ট জুলফিকার আলী হায়দার, আর স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বারিন্দ মেডিকেল কলেজের ডিরেক্টর ডা. মো. শরিফুল ইসলাম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুদ্দিন, ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. গোলাম মাওলা এবং নার্সিং বিভাগের প্রিন্সিপাল রেবেকা সুলতানা।

স্বাগত বক্তব্যে রাজশাহী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, সাইবার নিরাপত্তা আজ সবার জন্য অপরিহার্য। শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার, দ্বি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু রাখা এবং সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো উচিত। ডা. শরিফুল ইসলাম বলেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধে পরিবার ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হতাশাগ্রস্ত কাউকে একা না রেখে মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং পেশাদার সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দিতে হবে।

প্রফেসর ডা. গোলাম মাওলা বলেন, আত্মহত্যার ইচ্ছা সাধারণত সাময়িক, কিন্তু এর পরিণতি স্থায়ী। তাই আশেপাশের মানুষদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা বাড়াতে হবে। রেবেকা সুলতানা বলেন, মিডিয়া ট্রায়ালের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলতা বজায় রাখা জরুরি। অসংবেদনশীল প্রতিবেদন বা শিরোনাম ভুক্তভোগী পরিবারের মানসিক আঘাত বাড়ায়।

শামসুদ্দিন বলেন ,গুজব ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসন ও সংবাদমাধ্যমের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। সংবাদ প্রকাশে ভুক্তভোগীর গোপনীয়তা ও মর্যাদা রক্ষা করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে নাজিফা ইফরীত বলেন, আমরা চাই, মানসিক স্বাস্থ্য, আত্মহত্যা প্রতিরোধ ও অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে মানুষ খোলামেলা কথা বলুক। কেউ যেন একা সংগ্রাম করতে না হয়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।