যুক্তরাষ্ট্র-চীনের পালটাপালটি বন্দর ফি আরোপ
		সোনালী ডেস্ক: বিশ্বের বৃহত্তম দুই অর্থনৈতিক দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ আরও গভীর হচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীন উভয় দেশই একে অপরের জাহাজের ওপর অতিরিক্ত পোর্ট ফি (বন্দর ফি) কার্যকর করেছে।
এই ফি সমস্ত ধরনের পণ্যের ওপর প্রযোজ্য হবে। খেলনা থেকে কাঁচামাল তেল পর্যন্ত বহনকারী জাহাজকে এই ফি দিতে হবে। এমন বার্তায় দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধে সমুদ্রপথকে একটি গুরত্বপূর্ণ ফ্রন্টে পরিণত করছে। রয়টার্স।
বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ঘোষণা করে চীন-সম্পর্কিত জাহাজের ওপর ফি আরোপ করার পরিকল্পনা। যুক্তরাষ্ট্রের এই অতিরিক্ত ফি আরোপের প্রধান লক্ষ্য ছিল চীনের বৈশ্বিক সামুদ্রিক শিল্পের ওপর থাকা একচেটিয়া আধিপত্য কমানো।
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের সময় একটি তদন্তে বলা হয়েছিল, চীন অসংগত নীতি ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈশ্বিক সামুদ্রিক, লজিস্টিক্স এবং জাহাজনির্মাণ খাত দখল করে আছে। এটি সেই জরিমানা আরোপের পথ সুগম করে। যুক্তরাষ্ট্র ১৪ অক্টোবর থেকে ফি সংগ্রহ শুরু করেছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চীনের মালিকানাধীন কনটেইনার ক্যারিয়ার কসকো এতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে। চীন গত সপ্তাহে পালটা পদক্ষেপ নেয় এবং মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্র-সংযুক্ত জাহাজের ওপর নিজস্ব পোর্ট ফি আরোপের ঘোষণা দেয়।
বিশ্লেষক ওমর নোক্টা উল্লেখ করেন, এর ফলে বিশ্বের জাহাজ-বহরে প্রায় ১৩ ভাগ কাঁচামাল ট্যাঙ্কার এবং ১১ ভাগ কনটেইনার জাহাজ প্রভাবিত হবে।











