প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিক ও তার বাবাকে কুপিয়ে জখম

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলায় প্রেমের সম্পর্কের জেরে ছেলে ও তার বাবাকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেয়ের বাবা নুর হোসেন ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় গত সোমবার রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত মেয়ের বাবা ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ১১টার দিকে উপজেলার তেঘরপাড়া মাঝদিঘা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন- ছেলে রাকিব (২২) ও তার বাবা শফিকুল ইসলাম (৫৫)।
অভিযুক্ত নুর হোসেন মাঝদিঘা এলাকার বাসিন্দা এবং মির্জাপুর দিয়ার ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রাকিবের সঙ্গে নুর হোসেনের মেয়ে প্রভা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছিল। এক পর্যায়ে রোববার রাতে নুর হোসেন ও তার লোকজন রাকিবকে নুর হোসেনের বাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। পরে তাকে হাতুড়ি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়। বিষয়টি মোবাইলে রাকিবের বাবা শফিকুল ইসলামকে জানালে তিনি ছেলেকে বাঁচাতে ঘটনাস্থলে যায়।
শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাকেও মারপিট ও দেশিয় অস্ত্র দিয়ে বাবা-ছেলেকে মারপিট ও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে তাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত ছেলের চাচা মহিদুল ইসলাম বলেন, নুর হোসেনের মেয়ের সঙ্গে আমার ভাতিজার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। কিন্তু মেয়ে পক্ষ সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেনি।
এ নিয়ে উভয়পক্ষ আর কোনো সম্পর্কে জড়াবে না বলে সম্মত হয়। এরপরেও কেন এই হামলা করা হলো? বর্তমানে আহত বাবা-ছেলের অবস্থা সংকটাপন্ন। প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই। অভিযুক্ত নুর হোসেনে বলেন, রাকিব আমার মেয়েকে উত্যক্ত করতো। একাধিকবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে কথা শোনেনি।
রোববার রাতে রাকিব ও তার বাবা দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমার মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। বিষয়টি আমরা পুলিশ জানিয়েছি। মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। নলডাঙ্গা থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মেয়ের বাবার বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।