স্টাফ রিপোর্টার: শরতের শেষে এসে রাজশাহীর বাজারে শীতের সবজির আমদানী বাড়তে শুরু করেছে। তবে দাম কমছেনা।

শুক্রবার রাজশাহী মহানগরীসহ এর উপকন্ঠের বাজার গুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজার গুলোতে শীতের সবজির আমদানী বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে দাম কমার লক্ষন নেই। বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজি অন্যান্য বছর আরো আগেই বাজারে আসে। তবে এবার টানা বর্ষনের কারনে সবজি আবাদ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। যার কারনে এবার একটু দেরীতে আসলো। আর সবজি উৎপাদনে এবার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় দাম কমছেনা।

বাজারগুলোতে গতকাল প্রতিকেজি ফুলকপি ১৫০ থেকে ১৬০, বাধাকপি প্রতিপিস ৫০/৬০, সিম প্রতিকেজি ১৫০ থেকে ১৬০, টমেটো ১২০ থেকে ১৫০, আলু ১৮ থেকে ২০, বেগুন ৮০ থেকে ১০০, পটল ৬০, ঢেড়স ৫০, শশা ৬০ থেকে ৭০, মিস্টি কুমড়া ৫০, প্রতিপিস লাউ ৩০ থেকে ৪০, চাল কুমড়া ৪০, আদা ১৫০, রসুন ১১০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এছাড়া বাজার গুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫, ভারতিয় ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

প্রতিকেজি ছোটমাছ ৩০০শ’ থেকে ৬০০, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২শ’, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২৫০, রুই-কাতলা ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি ১৬০ থেকে ১৭০, সোনালী ২৮০ থেকে ৩০০, দেশি মুরগি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিকেজি গরুর মাংস ৭ শো থেকে ৭৫০, খাসির মাংস ৯শো’ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল প্রতিহালি সাদাডিম ৩৬ থেকে ৩৮ এবং লালডিম ৪০ থেকে ৪২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

নগরীর কুমারপাড়ার চালের আড়ত গুলোতে খোজ নিয়ে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে চালের বৃদ্ধিপ্রাপ্ত দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গতকাল পাইকারি বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫২/৫৩, পারিজা/ লালস্বর্না ৫৮ থেকে ৬০, আটাশ ৭৫, মিনিকেট ৮২, নাজির শাইল ৯৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গতকাল খুচরা বাজারে প্রতিকেজি গুটিস্বর্না ৫৪ থেকে ৫৫, পারিজা/ লালস্বর্না ৬০ থেকে ৬২, আটাশ ৭৭, মিনিকেট নতুন ৮৫, নাজির শাইল ৯৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এদিকে আটা খোলা ৪৫, প্যাকেট ৫২ থেকে ৫৫, প্রতিলিটার সয়াবিন খোলা ১৭০, বোতলজাত ১৮৮ থেকে ১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।