চারঘাটে প্রতিপক্ষের হামলায় মারা গেলেন লালন

চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় লালন আলী নামের একজন নিহত হয়েছেন।
গত শুক্রবার মধ্য রাতে উপজেলার চকমোক্তারপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এসময় আহত অবস্থায় লালনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে গতকাল শনিবার বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লালন আলী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান। এলাকাবাসীরা জানান, উপজেলার চক মোক্তারপুর এলাকার লাবান আলীর ছেলে লালন আলী, ইয়াছিন আলীর ছেলে উজ্জল হোসেন ও রাজ্জাক এর ছেলে সোহাগ দীর্ঘদিন মাদক ব্যবসা করে আসছিল।
মাদক ব্যবসার ভাগ-বাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে লালন আলীর সাথে উজ্জল হোসেন ও সোহাগ এর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার মধ্য রাতে লালন বাড়ির সন্নিকটে জনৈক মোবারক হোসেনের বাড়ির কাছে পৌছলে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ উজ্জল, সোহাগসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জন লালনের ওপর হামলা চালায়।
এসময় উজ্জল হোসেন উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করতে থাকে। এক পর্যায়ে লালনের চিৎকারে আশের লোকজন ছুটে আসলে উজ্জল তার দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় লালনকে উদ্ধার করে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শনিবার বিকালের দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লালন মারা যায়।
এদিকে লালনের মৃত্যু খবর জানতে পেরে অভিযুক্ত উজ্জল ও সোহাগ এর বাড়ি থেকে সকলেই পালিয়ে গেছেন। নিহত লালনের মা নেহেরা বেগম দাবি করে কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আজ থেকে প্রায় দেড় বছর আগে মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে উজ্জল কে ধরে নিয়ে যায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন। এ ঘটনায় লালনের হাত রয়েছে বলে সন্দেহ করে উজ্জল।
এছাড়া উজ্জলের ধারনা লালনের সঙ্গে উজ্জলের স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে। এসব ধারনা ও সন্দেহের জের ধরে উজ্জল জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর থেকে আমার ছেলে মারধরসহ হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই উজ্জলই আজ আমার সোনার ছেলেকে হত্যা করলো।
চারঘাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্তরা সবাই পলাতক। অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কাউকে পাওয়া যায়নি। লাশ ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে।