ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ - ১২:৫৫ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাগমারায় গ্রাহকের ১০ কোটি টাকা নিয়ে এনজিও কর্মকর্তা উধাও

  • আপডেট: Tuesday, September 23, 2025 - 10:10 pm

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারায় গ্রাহকের প্রায় ১০ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন বেসরকারি এনজিও আঁত-তাবারা রাজশাহী লিমিটেড। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওই এনজিওর পরিচালক মুশফিকুর রহমান ও সভাপতি মাদরাসা সুপার মোফাজ্জল হোসেনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মঙ্গলবার ভবানীগঞ্জ বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও অফিস ঘেরাও করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।

এছাড়া আমানতের টাকা ফেরৎ পাওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এবং থানায় পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়েছে।

মাড়িয়া ইউনিয়নের চাম্পাকুড়ি গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে মুশফিকুর রহমান ও তার ছোট ভাই মশিউর রহমান এবং উত্তর একডালা দাখিল মাদ্রসার সুপার মোফাজ্জল হোসেনসহ ১০/১২ জন সদস্য মিলে সম্প্রতি ভবানীগঞ্জ বাজারে ‘আঁত-তাবারা রাজশাহী লি:’ ও ‘আঁত-তাবারা কর্মচারী সমবায় সমিতি লি:’ নামে দুটি পারিবারিক এনজিও চালু করেন।

এরপর তারা প্রতারনার পন্থা অবলম্বন করে পাইকপাড়া মাদ্রাসা সুপার আব্দুল্লাহর কাছে থেকে আট লাখ, বৈইকুড়ি গ্রামের বাসিন্দা মাদ্রাসা শিক্ষক জামাল উদ্দিনের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, বিলবাড়ি গ্রামের রমজান আলীর কাছে থেকে পাঁচ লাখ, পাইকপাড়া গ্রামের অজুফা খাতুনের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, একই গ্রামের সাহেব উল্লাহ’র কাছে থেকে দুই লাখ, পানিশাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, কাস্টনাংলা গ্রামের নাজমুল হকের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, ভবানীগঞ্জ পৌরসভার বিধবা তানজিমা আক্তারের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, শিরিন আক্তারের কাছে থেকে তিন লাখ, জারজিস হোসাইনের কাছে থেকে পাঁচ লাখ, রুশি বেগমের কাছে থেকে সাড়ে তিন লাখ, মোস্তাক আহম্মেদের কাছে থেকে তেইশ লাখ, আব্দুস সালামের কাছে থেকে দুই লাখ, হারুনের কাছে থেকে বার লাখ, নাজমুল হক জনির কাছে থেকে পাঁচ লাখ, খুশি খাতুন ও তার মায়ের কাছে থেকে সাত লাখ, ঝিকরা গ্রামের রইচ উদ্দিনের ও আবুল কালাম স্বর্ণকারের কাছে থেকে বিশ লাখ করে, বালিয়া গ্রামের আবু হেনা মোস্তাফা কামালের কাছে থেকে সাড়ে চার লাখ এবং সগুনা গ্রামের সাইফুল ইসলামের কাছে থেকে দুই লাখসহ প্রায় পাঁচশতাধিক গ্রাহকের কাছে থেকে ১০ কোটি টাকা আমানত সংগ্রহ করেন।

এরপর ওই এনজিওর পরিচালক মুশফিকুর রহমান কয়েকদিন আগে ওই এনজিও’র অফিস ভবন তার ছোট ভাই মশিউর রহমানের কাছে হস্তান্তর করে দিয়ে তিনি উধাও হয়ে যান। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা ভবানীগঞ্জ বাজারে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং ওই এনজিও অফিস ঘেরাও করেন। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরৎ দেয়ার ভয়ে ওই এনজিও’র পরিচালক প্রায় এক সপ্তাহ ধরে আত্নগোপন করে আছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।