ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৫ - ৪:১৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

হাসপাতালের এমডির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও হয়রানির অভিযোগ

  • আপডেট: Tuesday, September 23, 2025 - 10:00 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হুমায়ুন খালেদ ওরফে শিহাবের বিরুদ্ধে অনিয়ম, অর্থ আত্মসাত ও হয়রানির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীরা।

মঙ্গলবার নগরীর শালবাগানের প্রফেসার পাড়ায় সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন হাসপাতালের বেশ কয়েজন শেয়ারহোল্ডার। সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে হাসপাতালের শেয়ারহোল্ডার শামিম আহমেদ অভিযোগ করেন, তিনিসহ আরও ৬২ জন শেয়ারহোল্ডার রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ১০০টি শেয়ারের মালিক।

২০১৮ সালে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পের মাধ্যমে যৌথভাবে ডায়াগনস্টিক সেন্টার চালু করার পর ২০২১ সালে হাসপাতাল ও এমআরআই সার্ভিস চালু করা হয়। প্রতিষ্ঠানের শুরুর সময় থেকেই হুমায়ুন খালেদ ওরফে শিহাব ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

অথচ দীর্ঘ ৮ বছরে তিনি শেয়ারহোল্ডারদের কোনও হিসাব না দিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাত করেছেন। তাদের কোনো অনুমতি বা পরামর্শ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় আয়-ব্যয়ের নিয়ন্ত্রণ এককভাবে পরিচালনা করেছেন। বিগত বছরগুলোতে কোনও অডিটও করতে দেননি।

অংশীদাররা হিসাব চাওয়ায় নিজেকে আওয়ামী রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত বলে দাবি করে সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন ও চন্ডিপুরের শুটার রুবেলের নাম ভাঙিয়ে শেয়ারহোল্ডারদের ওপর প্রভাব বিস্তার ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলো।

সংবাদ সম্মেলন থেকে ৮ বছরের আয়-ব্যয়ের পূর্ণাঙ্গ হিসাব, স্বীকৃত ফার্ম দ্বারা নিরপেক্ষ অডিট, ভুক্তভোগী শেয়ারহোল্ডারদের হয়রানি বন্ধ, শিহাবের অবৈধ কর্মকাণ্ড ও সম্পদ তদন্তে দুদক ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা, প্রতিষ্ঠানসহ শেয়ার হোল্ডারগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর শিহাবের অবিলম্বে গ্রেপ্তারে দাবি জানানো হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের শেয়ার হোল্ডার হাফিজুর রহমান, আতাউর রহমান, আবু সাঈদ ও মজিবর রহমান প্রমুখ।

রাজশাহী জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন খালেদ ওরফে শিহাব জানান, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অসত্য। শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিমাসে স্বাক্ষর করে লোভ্যাংশ নিয়ে যান, তার প্রমানপত্র আছে।

তিনি বলেন, এই বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল টেকনোলজিস্ট আবু সাদাত মো. সায়েম রাজু’র সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।