পবায় মসজিদের জমিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার আদাড়িয়াপাড়ায় মসজিদের জমি বিক্রির খবরে স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকদিন ধরেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। এলাকায় প্রচার চলছে মসজিদের জমি বিক্রি করে দিয়েছেন হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি প্রতিপক্ষের ফেসবুকে দেওয়া পোস্টে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান ইতিমধ্যে মসজিদের ১ বিঘা জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। বাস্তবে কোনো জমিই বিক্রি হয়নি।
এ প্রেক্ষিতে গত শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে আবুল কালাম আজাদ দাবি করেছেন, মসজিদের কোনো জমিই বিক্রি হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে স্থানীয় বিএনপির নেতারা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছেন।
এরপর আরেক পক্ষ গতকাল মঙ্গলবার পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তবে তারা জমি বিক্রি করে দেওয়ার কথা বলেননি। সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেছেন, জমি বিক্রি করার চেষ্টা হয়েছিল।
স্থানীয় মুসল্লিরা দাবি করেন, জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদটিও যেন সম্প্রসারণ করা হয়। কিন্তু মসজিদ সম্প্রসারণের টাকা নেই। তাই মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত হয়, ১ বিঘা জমি বিক্রি করা হবে। আর জমির বিনিময়ে ২ কাঠা জমি ওই ব্যক্তিকে দেওয়া হবে। এ জন্য কার্যবিবরণীতে বিষয়টি লিখে কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে অনুমোদনের জন্য। এরইমধ্যে অপপ্রচার শুরু হয় যে, জমি বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে তসলিম বলেন, জমি আসলে বিক্রি হয়নি। তবে ২ কাঠা জমি বিক্রির কথা থাকলেও ১ বিঘা জমি বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। গত শনিবারের সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়।
তবে মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কোনো জমিই বিক্রি হয়নি। মসজিদ কমিটির সদস্য তসলিম উদ্দিন বিএনপি করেন। তিনিই বিএনপি নেতাকর্মীদের দিয়ে অপপ্রচার চালান যে মসজিদের জমি বিক্রি করা হয়েছে।
এছাড়াও তিনি মসজিদের রেজুলেশন খাতা জোরপূর্বক ছিনিয়েছেন, সেই খাতা এখন পর্যন্ত জমা দেন নাই। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি টানা পাঁচবার এলাকায় ইউপি চেয়ারম্যান হয়েছি। এই অপপ্রচারকারীরা প্রত্যেক ভোটের আগে কিছু না কিছু অপপ্রচার করে। সে জন্য এমন অপপ্রচার।’