ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ - ১:২৫ পূর্বাহ্ন

ভূমিকম্পের মতো কাঁপছে গাজা

  • আপডেট: Saturday, September 20, 2025 - 10:00 pm

সোনালী ডেস্ক: গাজা সিটি সম্পূর্ণ ফাঁকা করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ইসরাইলি বাহিনী। হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দিনের পর দিন। বর্বর ইসরাইল সেনা-বিমানবাহিনী অবিরাম গোলাবর্ষণ আর বোমা বিস্ফোরণে ভূমিকম্পের মতোই কাঁপতে থাকে গাজা। রাত নামলেই সেই আতঙ্কে ওঠা ‘ভূমিকম্প’-এর তীব্রতা আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। আলজাজিরা।

গাজা সিটির বাসিন্দারা জানিয়েছেন, প্রতি রাত যেন ভূমিকম্পের মতো কাঁপতে থাকে। কারণ, ইসরাইলি সেনারা দূরনিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরক ব্যবহার করে একের পর এক বাড়ি ও আবাসিক ভবন উড়িয়ে দিচ্ছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সেনারা তাদের সামনে কোনো বিকল্প রাখেনি।

চারদিক থেকে অবিরাম কামানের গোলা আর কুয়াডকপ্টারের হামলার মুখে বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি ছাড়ছেন তারা। বেশিরভাগ বাসিন্দাই হেঁটে ছুটছেন দক্ষিণের দিকে। এরই মধ্যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপের দেশ পর্তুগাল।

রোববার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এদিকে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ভিডিওর মাধ্যমে ভাষণ দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে জাতিসংঘ।

এ লক্ষ্যে শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে একটি প্রস্তাব বিপুল ভোটে পাস হয়েছে। এর ফলে আগামী সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব নেতাদের বার্ষিক সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট আব্বাস ভিডিওর মাধ্যমে অংশ নিতে পারবেন।

গাজা সিটিতে ইসরাইলি বাহিনীর সর্বাত্মক আক্রমণের মধ্যে হামাসের কাসাম ব্রিগেড ৪৮ ইসরাইলি বন্দির একটি সম্মিলিত ছবি প্রকাশ করেছে। শনিবার অনলাইনে প্রকাশিত ছবিটিতে জীবিত ও মৃত সব জিম্মির মুখ দেখানো হয়েছে। প্রতিটি ছবির নিচে লেখা ছিল ‘রন আরাদ’ (১৯৮৬ সালে লেবাননে নিখোঁজ হওয়া এক ইসরাইলি বিমান কর্মকর্তার নাম, যার ভাগ্য আজও অজানা)।

হামাস এটিকে ‘বিদায়ের ছবি’ হিসাবে উল্লেখ করেছে। গোষ্ঠীটি বলেছে, গাজা শহরে ইসরাইলের চলমান সামরিক অভিযানের কারণে এই বন্দিদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। ছবির সঙ্গে একটি বার্তাও প্রকাশ করেছে হামাস। বার্তায় বলা হয়েছে, নেতানিয়াহুর অস্বীকৃতি এবং গাজা শহরে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ায় এই ‘বিদায়’-এর ছবি প্রকাশ করা হলো।

হামাস আগেও সতর্ক করেছিল, গাজা সিটিতে ইসরাইলের আক্রমণ বন্দিদের জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তারা দাবি করেছে, ইসরাইলি বন্দিদের শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইসরাইলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজার ২০৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি আহত হয়েছেন।