ঢাকা | সেপ্টেম্বর ২১, ২০২৫ - ১২:৪২ পূর্বাহ্ন

পবায় মসজিদের জমি বিক্রির গুজবের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

  • আপডেট: Saturday, September 20, 2025 - 11:04 pm

স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়নের আদাড়িয়াপাড়া জামে মসজিদ ও গোরস্থানের জমি বিক্রির অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়েছেন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-৩ আসনের জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ।

শনিবার আদাড়িয়াপাড়া এলাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে তিনি এই অভিযোগের তীব্র প্রতিবাদ জানান। সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে আদাড়িয়াপাড়া জামে মসজিদ ও গোরস্থানের সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দীর্ঘ সময়ে মসজিদ ও গোরস্থানের উন্নয়নে কোনো ধরনের অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি। বরং স্থানীয়দের সহযোগিতায় মসজিদটি আজ একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে। তিনি জানান, সম্প্রতি মসজিদ সম্প্রসারণের জন্য আব্দুল মালেক নামের একজনের কাছ থেকে জমি ক্রয় করা হয়।

এর বিনিময়ে তাঁকে দুই কাঠা জমি দেয়া হয়েছে, যা ইতিমধ্যে হস্তান্তরও সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংলগ্ন আরও কিছু জমি বিক্রি করে মসজিদ সম্প্রসারণের পরিকল্পনা নেয়া হয়। এ সংক্রান্ত রেজুলেশনে স্বাক্ষর নেয়ার সময় কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন জোরপূর্বক রেজুলেশন খাতা নিয়ে গিয়ে মসজিদে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করেন।

তিনি যেহেতু রাজশাহী-৩ আসনে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী হয়েছেন, সেহেতু তাঁর জনপ্রিয়তা নষ্ট করার জন্য স্থানীয় বিএনপি নেতা আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন, তসলেম উদ্দিন ও আসগর আলীসহ কয়েকজন অপপ্রচারে নেমেছেন। তাঁদের প্ররোচনায় ফেসবুকে ‘মসজিদের জমি বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ’ করার অভিযোগে মিথ্যা পোস্ট দেয়া হয়েছিল, যা পরে মুছে ফেলা হয়। তিনি বলেন,“এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ। এর মাধ্যমে আমার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার ষড়যন্ত্র চলছে।”

এ বিষয়ে অভিযুক্ত হড়গ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নাজিমুদ্দিন ও মসজিদ কমিটির সদস্য তসলেম উদ্দিন বলেন, ফেসবুকে যা হয়েছে তার সঙ্গে তাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে মসজিদের উন্নয়ন নিয়ে যে সিদ্ধান্ত হয়, তা ভিন্নভাবে রেজুলেশন করার চেষ্টা করেছিলেন আবুল কালাম আজাদ। তাঁদের দাবি, মসজিদ সংস্কারের জন্য দুই কাঠা জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত হলেও তিনি রেজুলেশনে ২০ কাঠা জমি বিক্রির বিষয় যুক্ত করেন। পরে কমিটি ও এলাকার মানুষের চাপে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মসজিদ কমিটির সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “আমাদের মসজিদ ও গোরস্থানের জমি নিয়ে নানা ধরনের গুজব ছড়ানো হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমরা সবাই মিলেই মসজিদের উন্নয়ন করছি। এ সময় মসজিদের সহসভাপতি শামসুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাংবাদিকদের মাধ্যমে এই গুজবের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং শান্তিপূর্ণভাবে মসজিদের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেন।