তানোরে ইউপি কম্পিউটার অপারেটরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে জুড়ানপুর গ্রামের দারেজ আলীর ছেলে বিএম আহম্মেদ বাদি হয়ে আলো বেগমের বিরুদ্ধে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খাঁনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিগত প্রায় ১৭ বছর আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যানের প্রভাব বিস্তার করে আলো বেগম বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার চাঁন্দুড়িয়া ইউনিয়নে (ইউপি) চলতি বছরের দুঃস্থ মাতা কার্ডের আবেদন করতে এলাকায় মাইকিং করা হয়। মাইকিং করার পর এলাকার অসহায় দরিদ্র নারীরা ইউপি প্রশাসক বরাবর আবেদন করেত ইউপি কার্যালয়ে আসেন।
এসময় প্যানেল চেয়ারম্যান মেজর আলীর সহায়তায় কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগম আবেদনকারীদের কাছে থেকে মাথা পিছু দুইশ টাকা করে হাতিয়ে নেন। ইউপিতে নতুন প্রায় সাড় তিনশ নারী দুঃস্থ মাতা ভাতার আবেদন করেছেন। মেজর আলীর সহায়তায় এসব দুঃস্থ নারীদের কাছে থেকে আলো বেগম প্রায় ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
কিন্তু সাড়ে তিনশ আবেদনকারীর কারোই দুঃস্থ মাতার কার্ড হয়নি। তবে কার্ড না হলেও তারা কোনো টাকা ফেরত পাইনি পুরো টাকা মেজর আলীর সহায়তায় আলো বেগম আত্মসাৎ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, শুধু দুঃস্থ মাতা নয় মাতৃকালীন ভাতা, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, পঁঙ্গু ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বিভিন্ন ভাতার কার্ডের জন্য আবেদন করতে গেলে মেজর আলীর সহায়তায় এসব অসহায় গরীব মানুষের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেন আলো বেগম।
কেউ টাকা না দিলে তাকে কার্ড দেয়া যাবে না বলে অপমান-অপদস্ত করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। ইউপিবাসী এ বিষয়ে সরেজমিন তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ও ইউপি প্রশাসক মোহাম্মদ হোসেন খাঁন বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কম্পিউটার অপারেটর আলো বেগম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, দুঃস্থ মাতার আবেদন করতে মাথা পিছু ৫০ টাকা করে নেয়া হয়েছে। এই টাকা তারা স্বেচ্ছায় দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউপি বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, অনেকে তাদের কাছে অভিযোগ করেছেন।
তারা আলো বেগমকে অপসারণ করে নতুন অপারেটর নিয়োগের দাবি করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্যানেল চেয়ারম্যান মেজর আলী বলেন, আলো বেগম কোনো বেতন পান না। কম্পিউটারে কাজ করে কিছু টাকা নেন। এটা তারা খুশি হয়েই দেন। এনিয়ে এতো বাড়াবাড়ি করার কি আছে।