ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫ - ৩:০৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পৈত্রিক জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের অভিযোগ

  • আপডেট: Thursday, September 18, 2025 - 9:06 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে সীমানা প্রাচীর ও রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নওপাড়া ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা এস. এম. মনোয়ার হোসেন দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, দুর্গাপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও নওপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসেন আলী শাহ তার ভোগদখলীয় প্রায় পাঁচ শতক জমি জোরপূর্বক দখল করে সীমানা প্রাচীর ও রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছেন। এমনকি জমিতে চাষ করা হলুদ ফসল কেটে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

মনোয়ার হোসেন দাবি করেন, তফসিলভুক্ত সম্পত্তি পূর্বে আমিন দ্বারা সঠিকভাবে মাপজোখ করা হয়েছিল। কিন্তু বিবাদী তা মানতে অস্বীকৃতি জানান। তার বড় ভাই জহুরুল ইসলাম সমঝোতার চেষ্টা করলেও অধ্যক্ষ হোসেন আলী শাহ আলোচনায় বসতে রাজি হননি। প্রয়োজনে নতুনভাবে জমি মাপজোখ করার প্রস্তাব দিলেও সেটি উপেক্ষা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এই জমি আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি। সেখানে সীমানা প্রাচীর ও রাস্তা নির্মিত হলে আমার অপূরণীয় ক্ষতি হবে। আমার পরিবারের ভোগদখলীয় সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে। তাই ইউএনও মহোদয়ের কাছে অভিযোগ জানাতে বাধ্য হয়েছি। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মনোয়ার হোসেনের পিতা প্রয়াত ফজলুর রহমান পূর্বে নওপাড়া মহাবিদ্যালয়ের জন্য ১৭ শতক জমি দান করেছিলেন।

তিনি দাবি করেন, মহাবিদ্যালয়ের প্রয়োজনে জমি দান করার পরও এখন আবার অবৈধভাবে তার পরিবারের জমি দখলের চেষ্টা চলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, জমিটি দীর্ঘদিন ধরে মনোয়ার হোসেনদের ভোগদখলে রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে রাস্তা ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অনেকে মনে করছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বিরোধ আরও বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে নওপাড়া মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হোসেন আলী শাহ-এর সঙ্গে মোবাইলে কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন বলেন, আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই সরেজমিন তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জমি সংক্রান্ত বিরোধে কারও যেন ক্ষতি না হয় সেদিকে প্রশাসন সতর্ক রয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে সমাধানের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।