ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৫ - ২:২০ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ ৬ দাবি ছাত্রদলের, সিসি ক্যামেরাসহ ৭ দাবী শিবিরের

  • আপডেট: Wednesday, September 17, 2025 - 11:00 pm

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ৬ দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল।

অপরদিকে ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় আনাসহ শিবির সমর্থিত প্যানেল ৭ দাবি জানিয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ, সিনেটে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ও ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল মনোনিত প্যানেল। গতকাল বুধবার দুপুর ১টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে দেওয়া এক স্মারকলিপিতে তারা এ দাবি জানান।

ছাত্রদলের ৬টি দাবি হলো- ভোট গ্রহণে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিশ্চিতকরণ, ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ, ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট গণনা, ভোট সম্পৃক্ত ব্যাতীত অন্য কেউকে কেন্দ্রের ১০০ মিটারের মধ্যে আসতে না দেওয়া, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রক্ষার্থে কালো টাকার প্রভাব প্রতিরোধ এবং সকল প্রার্থীর জন্য নির্বাচনী আচরণবিধি মনিটরিং এর মধ্যে আনা।

স্মারকলিপি প্রদান শেষে প্যানেলে ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দিন আবির সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনের আচরণবিধি অনেকেই অমান্য করছে কিন্তু প্রশাসন কিংবা নির্বাচন কমিশনের এখানে দায়সারা ভাব দেখা গেছে। নির্বাচনী প্রচারণায় অনেকেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তবে আমরা এখনও পর্যন্ত প্রশাসন অথবা নির্বাচন কমিশনের কোনো প্রতিক্রিয়া দেখতে পাইনি।

আমি অনুরোধ করব নির্বাচন কমিশন যেন তাদেরকে সতর্ক করে।’ ছাত্রদলের দাবী না মানলে ভোট বর্জন করা হবে কিনা এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আবীর বলেন, ‘সেটা পরিবেশ ও পরিস্থিতিই বলে দিবে। তবে ফলাফল যেটাই হোক না কেন আমাদের মেনে নিতে হবে। দিনশেষে আমরা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই। আমরা শেষ পর্যন্ত ফলাফলের অপেক্ষায় থাকব।’

এদিকে নির্বাচনে ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা ও ভোটকেন্দ্রে সিসি টিভিসহ ৭ দফা দাবিতে নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি দিয়েছেন ইসলামী ছাত্র শিবির সমর্থিত প্যানেল ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’।

বুধবার বিকেল পৌনে ৫ রাকসু কোষ্যাধ্যক্ষ কার্যালয়ে তারা এই স্মারকলিপি দেন। তাদের দাবিগুলো হলো, পোলিং এজেন্টদের প্রবেশাধিকার ও দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ হতে যাবতীয় সুবিধা নিশ্চিত করা; সাংবাদিকদের জন্য পৃথক আইডি কার্ডের ব্যবস্থা রাখা এবং কেবল প্রশাসন অনুমোদিত সাংবাদিকদের ভোটকেন্দ্রে প্রবেশাধিকার প্রদান করা; ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা এবং বিশেষজ্ঞ টিম রাখা; তবে কোনো প্রার্থী মেশিনে প্রযুক্তিগত সমস্যা নিয়ে আপত্তি করলে ম্যানুয়ালি ভোট গণনার ব্যবস্থা রাখা; প্রতিটি ভোটকেন্দ্র সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসা; ভোটের দিন ক্যাম্পাসে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা এবং নির্বাচন পরিচালনায় নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখা।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান শেষে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্যানেলের ভিপি প্রার্থীরা। প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে জাকসু নির্বাচনে দেখেছি নির্বাচনে ফলাফল আসতে তিনদিন সময় নিয়েছে। আমাদের এখানে ভোট কয়েকগুন বেশি। এতে আমাদের এখানে ফলাফল পেতে এক সপ্তাহ সময় লেগে যাবে। ফলে এখানে ত্রুটিমুক্ত ওএমআর মেশিনে ভোট গণনা করতে হবে। তবে কোনো প্রার্থীর অভিযোগ থাকলে তা ম্যানুয়ালি থাকলে চেক করতে হবে।’

আচরণবিধির বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণবিধিকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখেছি। এ পর্যন্ত কোনো প্রার্থী বা প্যানেল আমাদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ লিখিত আকারে করতে পারেনি। তবে আমরা প্রথম দিক থেকে ছাত্রদল আচরণবিধি লঙ্ঘন করছে। তারা শ্রেণিকক্ষে প্রচারণা করেছে, ঝাড়ুদার দিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালিয়েছে। আমরা আহ্বান করব আপনারা আচরণবিধি মেনে প্রচারণা চালান। এতে শিক্ষার্থীরা একটি আমেজপূর্ণ নির্বাচন পাবে।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের রাকসু নির্বাচন কমিশনে দাবি দেওয়ার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রদলের বাইরে তাদের মাদার সংগঠন দাবি পেশ করে সেটাকে পেশাদার মনে করছি না। ছাত্রদলের দাবি ছাত্রদলের নিজেরই পেশ উচিত।’