ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৫ - ১:০৮ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাঘায় যৌতুকের টাকা দিতে না চাওয়ায় স্ত্রীর মাথার চুল কেটে অমানবিক নির্যাতন

  • আপডেট: Tuesday, September 16, 2025 - 11:11 pm

বাঘা প্রতিনিধি: রাজশাহী বাঘায় যৌতুকের টাকা দিতে না চাওয়ায় স্ত্রীর মাথার চুল কেটে শারীরিক নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। গত শনিবার দুপুরে বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই নারী বাঘা থানায় তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়েটি প্রকাশ্যে আসে।

অভিযুক্ত আজিজুল ইসলাম (৪০) রাজশাহী জেলার বাঘা থানার বাঘা পৌর সভার ৫ নং ওয়ার্ডের গাওপাড়া গ্রামের মিজান উদ্দীনের ছেলে। সে তার স্ত্রী সাথী খাতুনকে (২৬) নিয়ে নিজ বাড়িতেই থাকতেন। আজিজুল ইসলাম এক সন্তানের জনক। সাথী খাতুনের তুবা নামের ১ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ভুক্তভোগী সাথী খাতুন বলেন, আজিজুলের সঙ্গে প্রায় ৩ বছর ধরে সংসার করে আসছি। বিবাহের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে আসছে।

গত শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আজিজুল ইসলাম আমাকে বাবার বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা এনে দিতে বলে। আমি টাকা এনে দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় আমার সঙ্গে বাগবিতন্ডা শুরু করে। একপর্যায়ে আজিজুল আমার গায়ে হাতে তোলে।

তিনি আরও বলেন, আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে আমাকে পিছমোড়া দিয়ে বেঁধে মাথার চুল কেটে দেয়। পরে আমার চিৎকারে প্রতিতবেশীরা এগিয়ে আসলে আমাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় আজিজুল। বাবার বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। আরো উন্নত চিকিৎসা নেয়ার জন্য গতকাল মঙ্গলবার বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি হই।

ভুক্তভোগী সাথী খাতুনের বাবা সাহাব উদ্দীন বলেন, বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের জামাই ও তার পরিবারের লোকজন টাকার জন্য আমার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করত। মেয়ের সুখের জন্য আমি এক লাখ টাকাও দিয়েছি। তারপরও নির্যাতন বন্ধ হয়নি। নির্যাতনের পর দা ও কাঁচি দিয়ে তার চুল কেটে নেন স্বামী আজিজুল।

বাঘা থানার ওসি আসাদ্দুজ্জামান বলেন, চুল কাটার ঘটনায় এক নারী তার স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। নারী নির্যাতন ও চুল কেটে নেয়ার ঘটনার সত্যতা জানিয়ে তিনি বলেন, মামলা রের্কড করে আসামী গ্রেপ্তার করা হবে।