বিয়ের অনুষ্ঠানে খাবার কম: দুর্গাপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, বর কনে নিখোঁজ

দুর্গাপুর প্রতিনিধি: রাজশাহী দুর্গাপুরে বিয়ের অনুষ্ঠানে খাওয়ার কম দেয়া নিয়ে দুই পক্ষের বাকবিতন্ডায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় কনের বাবা, তার ভাই, ফুফু ও দাদিকে আটকে রেখে দুইদফা মারধরের অভিযোগ উঠছে।
এদের মধ্যে দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই কনেসহ নিখোঁজ রয়েছে বর। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করছেন কনের বাবা ছফির বাবু। থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন।
প্রত্যাক্ষদর্শী ও থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার পৌর এলাকার শালঘরিয়া গ্রামের ইয়াদ আলী পুত্র প্রবাসী বেলাল হোসেন (২৭) সঙ্গে পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের ছফির বাবুর মেয়ের বিবাহ অনুষ্ঠানের দিন আগে থেকেই ধার্য ছিল। গত শুক্রবার দুপুরে প্রবাসী বেলাল প্রায় ১৬০জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসেন। পরে বৃষ্টি বাগড়ার মধ্যে দুপুরের খাবারের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। এতে বরপক্ষের লোকজন খাবার কম দেয়ার অভিযোগ করেন।
তখন এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডায় শুরু হয়। এরমধ্যে সমঝোতায় বর বেলাল বিয়ের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কনেকে নিজ বাড়িতে চলে আসেন। পরে ওই রাতে বরযাত্রীদের খাবার কম নিয়ে জামাই বেলালের সঙ্গে শ্বশুর ছফির বাবুর মোবাইলে ফোনে আবারও বাকবিতন্ডায় শুরু হয়। এসময় ছফির বাবু, তার ছোট রাজু আহমেদ, বোন মুর্শিদা জামাইয়ের বাড়িতে আসেন। এতে আবারও বাকবিতন্ডায় শুরু হলে জামাই বেলাল চাচা শ্বশুর রাজু আহমেদকে কিল-ঘুষি মারেন।
এক পর্যায়ে তার শ্বশুর ছফির বাবু বোন মুর্শিদা মারধর করে আটকে রাখেন। পরে স্থানীয় লোকজনের সমঝোতায় রাত ১১ আবারও সালিশ বসানো হয়। সেই সালিশে আবারও দুই পক্ষ চড়াও হলে আবারও কনে পক্ষের লোকজনকে বেধড়ক মারধোর করা। পরে ওই রাতেই পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি কনের বাবা ছফির বাবু বলেন, বিয়ের রাতে আমার মেয়েকে জামাইয়ের বাড়িতে দেখতে আসলে তারা আমাদের মারধোর করে। পরে সালিশ বৈঠক বসলে সেখানেও তারা আমাদের মারধোর করে। এ নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। এদিকে বর বেলাল হোসেন পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত আছি। পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।