স্টাফ রিপোর্টার: পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে নগরীর মেহেরচন্ডী দক্ষিণপাড়ায় মহিলাদলের প্রভাব খাটিয়ে নয়ন কসমেটিকস নামে একটি দোকানে তালা ভেঙে দখল ও লুটপাটের ঘটনায় ভুক্তভোগী দোকান মালিক নয়ন আলী সংবাদ সম্মেলন করেছে।

রোববার দুপুর ১টায় নগরীর ভদ্রা মোড়ের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট এন্ড কমিউনিটি সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নয়ন বলেন, বর্তমানে আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমার জীবিকার একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপুর্বক দখল করে নিয়েছে আমার শশুর বাড়ির লোকজন।

তিনি বলেন, আমার শাশুড়ী ২৬ নং ওয়ার্ডের মহিলাদলের সভাপতি তিনি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। যার কারণে আমি আমার নিজ বাসাতে থাকতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ‘নয়ন কসমেটিকস’নামে একটি দোকানে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলাম, কিন্তু গত ২০ এপ্রিল আমার সাবেক স্ত্রী লিজা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা দোকানে এসে জোরপূর্বক দখল করে নেন। তারা দোকানের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়ে দেয়।

আমাকে দেশীয় অস্ত্র হাতে আক্রমণ করার চেষ্টা করলে প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায় ও চিৎকার করলে স্থানীয় কিছু মানুষ এগিয়ে আসে। দোকানের ভিতরে এখনো আমার নামে দোকানের ট্রেড লাইসেন্স, ঘরের চুক্তিপত্র এবং প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার পণ্যসামগ্রী রয়ে গেছে।এর আগে পারিবারিক সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় ১৬ এপ্রিল ২০২৫ বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী তালাকনামা পাঠাই কিন্তু আমার সাবেক স্ত্রী লিজা আক্তার সেই তালাকনামা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়।

এ অবস্থায় লিজা আক্তার ও তার পরিবারের সদস্যরা আমার ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় এবং জোর পূর্বক দোকান দখল করে নেই। আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়, এবং আমি প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় চন্দ্রিমা থানায় যোগাযোগ করি কিন্তু কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি।

চন্দ্রিমা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, আমার জানা মতে এই রকম কোন অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ আসলে তদন্ত করে ঘটনার বিষয়ে পর্বরতী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার অভিযুক্ত আসমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, আমার নামে যে অভিযোগ করেছে তা পুরোপুরি মিথ্যা ভিত্তিহীন। বরং আমি এখনও চাই তারা এক সাথে বসবাস করুক।