ঢাকা | জুলাই ১৪, ২০২৫ - ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

আ’লীগের ‘অর্থদাতা’ পবার ঠিকাদার ওয়াসিমুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি যুবদলের

  • আপডেট: Monday, July 14, 2025 - 1:20 am

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার ঠিকাদার ওয়াসিমুল হককে আওয়ামী লীগের ‘অর্থদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে নওহাটা পৌর যুবদল।

রোববার বিকেলে পবার নওহাটা পৌর যুবদলের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান যুবদলের কর্মী আবদুল্লাহ আল মামুন জনি। তিনি নওহাটা পৌর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

ঠিকাদার ওয়াসিমুল হক জনির বোন তানিয়া খাতুনের মামা শ্বশুর। কিছু দিন ধরে ওয়াশিমুল হকের সঙ্গে তার ভাগনে আজাদ কামাল নতুনের বিরোধ চলছে। এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন-পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করা হচ্ছে। এর জেরেই রোববার এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার বিএনপি পরিবারের মানুষ হিসেবে দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে নির্যাতিত। অথচ ওয়াসিমুল হক সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে ও যুবদলকে জড়িয়ে মিথ্যা ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। এতে আমাদের পরিবার ও দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ওয়াসিমুল হক আওয়ামী লীগের পলাতক সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। তিনি তাদের ব্যবসায়িক পার্টনার ও অর্থদাতা হিসেবেই পরিচিত। তার ভাই জয়নাল আবেদীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

তিনি বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের জন্য বিপুল অর্থ দিয়েছেন। এমনকি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে তার বড় ভূমিকা ছিল।’ জনি বলেন, ‘আমার ছোট বোনের স্বামীর সঙ্গে তার ব্যবসায়িক বিরোধ চলছে। এর সঙ্গে আমাদের পরিবার বা দলের কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু তিনি সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি ও যুবদলকে জড়িয়ে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি নানারকম হুমকি দিয়েছেন। এতে আমরা আতঙ্কিত। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক মমিনুল ইসলাম মিলন।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন যুবনেতা ইলিয়াস আলী, হাসান ইমাম, রনি ও মখছেদ আলী প্রমুখ। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার ওয়াসিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে অর্থ দেওয়া তো দূরের কথা; দলের কোন নেতাকর্মীর সঙ্গেই আমার সম্পর্ক নেই। বরং, আমার ভাগনে নতুন নওহাটা পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। সে আমার কাছে অন্যায়ভাবে টাকা দাবি করছে। যুবদলকর্মী জনি তার শ্যালক। সে কারণেই আমার নামে অপপ্রচার করা হচ্ছে।