ঢাকায় ব্যবসায়ী হত্যার প্রতিবাদে রাবিতে বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ও খুলনার দৌলতপুরে সাবেক যুবদলকর্মী মাহবুবুর রহমান হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শাখা ছাত্রদল।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক চত্বর এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এর আগে বিকেল ৫ টার দিকে বুদ্ধিজীবী চত্বরে জড়ো হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশ শেষে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের প্যারিস রোডসহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী, যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমদুল হাসান মিঠু, শাকিলুর রহমান সোহাগ, মেহেদী হাসান, এম তাহের রহমান প্রমুখ।
সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘রাজধানীতে ব্যবসায়ী হত্যাকে কেন্দ্র করে যারা বিএনপির নামে অপপ্রচার করছে, তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যারা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের গালিগালাজ করছেন আমি তাদেরকে বলতে চাই, আপনারা ছাত্রদলের কাছে নিরাপদ।
আপনারা যে অশালীন বাক্যে আমাদের বলছেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা আপনাদের কখনো সেই অশালীন ভাষায় উত্তর দিবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘খুলনায় যুবদল নেতাকে নামাজে যাওয়ার পথে গুলি করে হত্যা করা হলো। পায়ের রগ কেটে চিহ্ন দিয়ে গেলো যে এই রগ কাটার রাজনীতি কারা করে? তারা রগ কেটে প্রমাণ করলো এই হত্যার পিছনে তারাই জড়িত রয়েছে।’
শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলন
এদিকে ঢাকায় ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে একদল শিক্ষার্থী। শিক্ষা ও শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে আজ বিকেল পৌনে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী হাসান মারুফ, ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য সচিব ওয়াজিদ শিশির অভি প্রমুখ।
মেহেদী হাসান মারুফ বলেন, ‘৫ আগষ্টের ছাত্র গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমাদের আশা আকাঙ্খা ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার বাংলাদেশ গড়বো। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা দেখতে পেলাম শতাধিক খুন হয়েছে। অথচ অন্তর্বর্তী সরকার চুপচাপ চেয়ারে বসে আছে। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছে না।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় আসার আগেই নিজের দলের মাংস খাওয়া শুরু করলেন। সামনে ক্ষমতায় আসবেন, মানুষকে হত্যা করবেন, এটা কখনো হতে পারে না। চব্বিশের অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আমরা যারা বেঁচে আছি, তারা আরেকটা অভ্যুত্থান ঘঠানোর জন্য বেঁচে আছি।’