ঢাকা | জুলাই ১৩, ২০২৫ - ২:৫৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

বাঘায় ব্যস্ত ছাতা মেরামতকারী, ব্যবসা জমজমাট

  • আপডেট: Friday, July 11, 2025 - 11:51 pm

লালন উদ্দীন, বাঘা থেকে: প্রতি বছর আষাঢ়-শ্রাবণ অর্থাৎ বর্ষা মৌসুমে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের দোকানগুলোতে ছাতা বিক্রয় ও পুরনো ছাতা মেরামতের হিড়িক পড়ে যায়। এবারো তার বেতিক্রম হয়নি। ইতিমধ্যে ছাতা মেরামতকারীদের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ।

উপজেলার বাঘা সদরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, এবারে আষাঢ়ের শুরু থেকেই ছাতার দোকানগুলোতে ছাতা বিক্রি শুরু হয়েছে। গ্রামগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে ছাতা কেনার জন্য আসছেন এসব উপজেলার হাট বাজারের দোকানগুলোতে। টিপটিপ এই বৃষ্টির ফলে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার বিভিন্ন হাট বাজারে বিভিন্ন ছাতার দোকানে দেখা গেছে উপচে পড়া ভিড়।

এছাড়াও ছাতা বিক্রির পাশাপাশি বেড়েছে ছাতা মেরামত। উপজেলার বাঘা বাজার, আড়ানী বাজার, নারায়নপুর বাজার, মনিগ্রাম বাজার, দিঘা হাট বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পেশাজীবী না হলেও বর্ষা মৌসুমে ছাতা মেরামত করে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেক দরিদ্র পরিবারের বেকার যুবক, বৃদ্ধ ও অন্য বয়সের মানুষ।

বাঘা পৌর বাজারের ছাতা ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, গত কয়েক বছরের তুলনায় একটানা বৃষ্টি না হলেও টিপটিপ বৃষ্টির পরিমাণটা এবার বেশি। তাই ছাতার চাহিদাটাও বেশি। মোটামুটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে। ছাতা বিক্রেতা গনেশ চন্দ্র জানান, ছাতার দাম তুলনামূলক বেশি। তার পরেও যথেষ্ট ছাতা বিক্রি হচ্ছে। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ছাতা বেশি ক্রয় করছেন।

উপজেলার বাঘা পৌর মোড় বাজারের ছাতা বিক্রেতা আব্দুস সালাম বলেন, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা রং-বেরংঙের ছাতা কিনতে বেশি পছন্দ করে। এবছর কোয়ালিটি অনুসারে সর্বনিম্ন ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি ছাতা বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে শংকর, রহমান, মুন এই নামকর ছাতাগুলো একটু বেশি বেক্রি হচ্ছে। তার দোকানে সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা দামের ছাতা রয়েছে।

ছাতা কিনতে আসা কলিকগ্রামের কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সালমা খাতুন  বলেন, ছাতার দাম তুলনামূলক একটু বেশি। তিনি মুন ব্যান্ডের একটি ফোল্ডিং ছাতা কিনেন ৭৫০ টাকা দিয়ে। বাজুবাঘা গ্রামের ইউনুস আলী বলেন, আগে আমরা কাঠের ডান্টি আলা ছাতা কেনেছি। সেই ছাতা ১০-১২ বছরেও কিছু হয়নি।

এখন ছাতা কিনলে এক বছরি যায় না। কিছুদিন যেতে না যেতেই নষ্ট হয়ে যায়। এখনকার ছাতার কাপড় পাতলা, খিল, ডান্টি অত্যন্ত হলকা। বাঘা বাজার ছাতা মেরামতকারী মিলন আলী বলেন, পুরনো ছাতা মেরামত বেশ ভালোই হচ্ছে। অন্যসময় তেমন কাজ না থাকলেও আষাঢ়ের শুরু থেকেই মোটামুটি কাজ হয়।

প্রতিটি ছাতা প্রকার ভেদে মেরামত পারিশ্রমিক নেন ৫০ থেকে ১৫০ টাকা। টেকনিশিয়ান আনিক উদ্দিন জানান, আষাঢ়ের শুরু থেকে তারা উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে ঘুরে ছাতা মেরামতের কাজ করেন। বর্তমানে ছাতা মেরামত করে প্রতিদিন গড়ে তিনি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা আয় করছেন।