বাঘায় নিত্যপ্রয়াজনীয় দ্রব্যের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে

লালন উদ্দীন, বাঘা থেকে: রাজশাহীর বাঘাতে এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিসহ নিত্যপ্রায়াজনীয় কাঁচামালের দাম ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। বাজারে ভিড় থাকলেও অনেকেই চাহিদামতো জিনিসপত্র কিনতে পারছেন না।
বাঘা ও আড়ানী শহরের বাঘা বাজারে, নারায়নপুর, আড়ানী, চন্ডিপুরহাট, রোস্তপুরহাটসহ প্রতিটি বাজারেই দেখা গেছে দাম বাড়ার চিত্র। বেগুন বিক্রি হচ্ছে প্রতিত কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায়, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৫৫ টাকা, কাঁচা পেপে ৪০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা (আকারভেদে), মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, করলা ৮০ টাকা, আর আদা বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে।
শুধু সবজিই নয়, একইসঙ্গে বেড়েছে চাল, মাংস ও মুরগির দামও। গরু মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিতে, খাসির মাংস ১০০০ টাকা কেজি এবং দেশি সোনালী মুরগির দাম ২৬০ টাকা কেজিতে পৌঁছেছে, যা আগে ছিল ২১০ টাকার মতো। বাজারে আসা ক্রেতা হাসমত গাঁন ও দেবেন্দ্রনাথ বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিটি পণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে।
এখন কেজি দরে সবজি কেনাও কঠিন হয়ে গেছে। বাঘা বাজারের বিক্রেতা আব্বাস আলী জানান, আমরা হাট ও আড়ত থেকে সবজি কিনে আনি। সেখানেই দাম বেশি, তাই বাধ্য হয়েই বেশি দামে বিক্রি করছি। ব্যবসায়ী আমিরুল ইসলাম বলেন, টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে অনেক সবজির খেত নষ্ট হয়ে গেছে।
টানা বর্ষা পানি বৃদ্ধির কারণে অনেক এলাকায় সবজিখেতে পানি ঢুকে সবজির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এসব কারণে দাম বাড়ছে। তবে সচেতন মহলের দাবি, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সঙ্কটকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে বাজারে কারসাজি করছে। ফলে প্রকৃতপক্ষে কিছু পণ্যের দাম যৌক্তিক কারণে বাড়লেও, অনেক ক্ষেত্রে অযৌক্তিকভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে সাধারণ ভোক্তারা দিশেহারা।